India-China Meet

‘তিন নীতিতে অগ্রগতি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের’, চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন জয়শঙ্কর

বৃহস্পতিবার কাজ়াখস্তানের রাজধানী অস্তানায় ‘শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশন’ (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠকে করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ১২:৪৪
Share:

(বাঁ দিকে) এস জয়শঙ্কর। ওয়াং ই (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

দু’বছর আগে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার রক্তাক্ত স্মৃতি এখনও পুরোপুরি ফিকে হয়নি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-র এ পারে এখনও বেশ কয়েকটি জায়গায় পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে বলে অভিযোগ। এই আবহে বৃহস্পতিবার কাজ়াখস্তানের রাজধানী অস্তানায় আয়োজিত শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশন (এসসিও)-এর এক সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই।

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীর এই আলোচনায় সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। গালওয়ান পরবর্তী পর্বে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মস্কোয় এসসিও বৈঠকের সময়েই এলএসি-তে উত্তেজনা কমাতে আলোচনায় বসেছিলেন দুই বিদেশমন্ত্রী। সেই সময়ে পাঁচ দফা পরিকল্পনা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সেই পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে পর্যালোচনাও করেন জয়শঙ্কর-ওয়াং। বৈঠকের পরে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘তিনটি নীতি ভারত এবং চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এই তিন নীতি হল পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতা এবং স্বার্থ বজায় রাখা।’’

চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরকারের বিদেশমন্ত্রী তথা একদলীয় চিনের শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ওয়াংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে সীমান্তের বকেয়া সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। প্রসঙ্গত, প্রায় এক বছর পর মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন দুই বিদেশমন্ত্রী। এই বছর মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ওয়াং ই এবং জয়শঙ্করের স্বল্প সময়ের জন্য সাক্ষাৎ হয়েছিল। কিন্তু কোনও বৈঠক হয়নি। তারই মধ্যে অরুণাচল প্রদেশের এলএসিতে চিনা ফৌজের তৎপরতা এবং দলাই লামার সঙ্গে আমেরিকার প্রতিনিধিদের বৈঠকে সংঘাতের পারদ আরও চড়েছে।

Advertisement

আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের প্রাক্তন স্পিকার তথা ডেমোক্র্যাট নেত্রী স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি-সহ সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জুন মাসে হিমাচল প্রদেশের ধরমশালায় এসে বৈঠক করেন চিন অধিকৃত তিব্বত থেকে নির্বাসিত বৌদ্ধ ধর্মগুরু চতুর্দশ দলাই লামার সঙ্গে। আর তার পরই প্রত্যাশিত ভাবে ভূকৌশলগত বাগ্‌যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে। নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাসের তরফেও বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement