ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। —ফাইল চিত্র।
তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেনের বিলাসবহুল বিদেশি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার সকাল থেকে হেমন্তের দিল্লির বাড়িতে শুরু হওয়া অভিযানে ওই বিএমডব্লিউ গাড়ি এবং কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে ইডি সূত্রের খবর।
ইডি মোট ন’বার তলব করলেও প্রতি বারই তা এড়িয়ে গিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত। গত শনিবার হেমন্তকে নতুন করে সমন পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রথমে তাঁকে ২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজির হয়ে তদন্তপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রত্যুত্তর না পেয়ে পরে তাঁকে ২৯ কিংবা ৩১ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় রাখতে বলা হয়। সেই ‘সময়সীমার’ প্রথম দিনেই এই পদক্ষেপ।
যদিও সোমবার সকালে ইডির তল্লাশি অভিযান শুরুর সময়ে হেমন্ত তাঁর দিল্লির বাড়িতেই ছিলেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় তাঁকে। সন্ধ্যায় বিমানে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি ফিরে আসেন তিনি। সোমবার জেএমএমের তরফে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ইডির তল্লাশিতে কিছুই মেলেনি।
গত ২০ জানুয়ারি রাঁচীতে হেমন্তের সরকারি বাসভবনে হানা দিয়েছিল ইডি। প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এ তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করা হয়। তার পরই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব না মেলায় হেমন্তকে ফের সমন পাঠানো হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন যে, নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিতেই এবং রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি।
ইডির বক্তব্য, রাঁচীতে ৭.১৬ একর একটি জমির মালিকানার বিষয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু প্রশ্ন করতে চায় তারা। অভিযোগ উঠেছে, ওই জমি বেআইনি ভাবে দখল করা হয়েছে। আদতে সেটা সেনার জমি ছিল। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ‘অস্পষ্ট’ বলে দাবি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জমি ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ইতিমধ্যে ১৪ জন গ্রেফতার হয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ছবি রঞ্জন নামে এক আমলা, অমিত আগরওয়াল এবং বিষ্ণু আগরওয়াল নামে দুই ব্যবসায়ী। ওই দুই ব্যবসায়ী বিতর্কিত জমির উপর শপিং মল তৈরি করেছেন বলে খবর।