প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র বিরোধিতা করেছিলেন আগেই। এ বার বিহারে বিজেপির সঙ্গে নীতীশ কুমার সরকারের নয়া সমীকরণ তৈরি হওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিলেন ভোটকুশলী তথা খাতায়-কলমে সংযুক্ত জনতা দলের (জেডিইউ) ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’ প্রশান্ত কিশোর। তাঁর মতে, দুই দলের মধ্যে এত দিন ৫০:৫০ সমীকরণ মেনে আসনবণ্টন হলেও, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সিংহভাগ আসনে জেডিইউয়েরই প্রার্থী নামানো উচিত।
সিএএ এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রশান্ত কিশোর সরব হলেও, এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি নীতীশ কুমার। আবার শরিক দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপও করেননি তিনি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আসন বন্টন নিয়ে বিজেপির সঙ্গে চূড়ান্ত ফয়সলা না হওয়াতেই মুখ খুলছেন না নীতীশ। তা নিয়ে প্রশ্ন করলে সংবাদমাধ্যমে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘‘আমি শুধু জানি যে আসন বন্টন ১:১.৪ অনুপাতে (অর্থাৎ বিজেপিকে ৫টি আসন ছাড়লে জেডিইউয়ের ৭ টি আসন পাওয়া উচিত)হওয়া উচিত।’’
শিবসেনার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে মতবিরোধের জেরেই চলতি বছরেই মহারাষ্ট্র হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। তাই প্রশান্ত কিশোরের এই মন্তব্য নিয়েও নানা জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও তাঁর মন্তব্যে কিছু যায় আসে না বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা নিতিন নবীন। তিনি বলেন, ‘‘দুই দলের হাইকম্যান্ডই আসন ভাগাভাগি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এ নিয়ে প্রশান্ত কিশোর নাক গলাচ্ছেন কেন, তা বুঝতে পারছি না আমি।’’