পুষ্পম প্রিয়া চৌধুরী। ছবি সৌজন্য টুইটার।
সামনেই বিধানসভার নির্বাচন বিহারে। তার আগে নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা শাসক দল জেডিইউ-কে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন পুষ্পম প্রিয়া চৌধুরী। ঘটনাচক্রে প্রিয়ার বাবা বিনোদ চৌধুরী জেডিইউ-এরই এক জন শীর্ষ স্তরের নেতা এবং নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ।
নিজের দলের নামও ঘোষণা করেছেন প্রিয়া। দলের নাম দিয়েছেন ‘প্লুরালস’। ঢালাও বিজ্ঞাপনও দিয়েছেন সেটার। দলের ট্যাগলাইন দিয়েছেন, ‘এভরিওয়ান গভর্নস’। প্লুরালস-এর তরফে রবিবার একটি টুইট করে বলা হয়, “বিহার শান্তি চায়। পরিবর্তন চায়। উড়তে চায়। কারণ বিহার আরও ভাল কিছু পাওয়ার যোগ্য। এবং সেটা বাস্তবায়িত করা সম্ভব।” পাশাপাশি ওই টুইটে আরও বলা হয়েছে, “বিহারের উন্নতি চাইলে প্লুরালস-এ যোগ দিন।”
নিজেকে শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করাই নয়, বিজেপি-জেডিইউ-এর জোট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিহারের মানুষের কাছে আবেদন করেছেন প্রিয়া। এক খোলা চিঠিতে লিখেছেন, তিনি যদি মুখ্যমন্ত্রী হন তা হলে ২০২৫-এর মধ্যে দেশের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলবেন বিহারকে। এবং ২০৩০-এর মধ্যে উন্নয়নের দিক থেকে ইউরোপের যে কোনও দেশকে টেক্কা দেবে বলেও দাবি করেছেন প্রিয়া।
আরও পড়ুন: ‘নির্লজ্জ!’ হোর্ডিং কাণ্ডে আদালতে মুখ পুড়ল যোগী সরকারের
আরও পড়ুন: করোনার জের, ঢাকা সফর বাতিল মোদীর
বর্তমানে লন্ডনে থাকেন প্রিয়া। এমবিএ করেছেন পুণেতে। পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এ স্নাতকোত্তর করেছেন লন্ডন স্কুল অব ইকনমিকস থেকে। সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি যে রাজনীতিতে যোগ দেবেন এমন কোনও ইঙ্গিত আগে দেননি প্রিয়া। তাই হঠাত্ করে নিজেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা এবং দলের নাম ঘোষণার বিষয়টিতে যথেষ্ট অবাক হয়েছেন বিনোদ চৌধুরী। সেই সঙ্গে তাঁর দলকেই চ্যালেঞ্জ ছোড়ায় যথেষ্ট অস্বস্তিতেও পড়েছেন বিনোদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মেয়ের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। জেডিইউ কখনওই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে সমর্থন করবে না।