সোমবার রাজ্যসভায় মাদক সংক্রান্ত একটি সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনা চলার সময় মেজাজ হারালেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন।
রাজ্যসভায় মাদক সংক্রান্ত একটি সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনা চলার সময় সোমবার মেজাজ হারালেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন। ক্রুদ্ধ জয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি অভিশাপ দিচ্ছি। আজ থেকে সরকার (বিজেপি-র)-এর খারাপ দিন শুরু।’’ ঘটনাচক্রে, পানামা মামলায় সোমবারও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে জয়ার পুত্রবধূ ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনকে।
ট্রেজারি বেঞ্চের সঙ্গে জয়ার বাদানুবাদের জেরেই সোমবার উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। ১২ জন সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড করার মতো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ জয়া। জয়ার অভিযোগ, এ সব নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণও করা হয়েছে। এর পরেই বেজায় চটে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কক্ষের ভিতর কী ভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হতে পারে? বুঝতেই পারছি, সহকর্মীদের প্রতি কোনও শ্রদ্ধা নেই আপনাদের। আমি অভিশাপ দিচ্ছি। আজ থেকে সরকারের খারাপ দিন শুরু।’’
এর পর ট্রেজারি বেঞ্চকে কটাক্ষ করে চেয়ারপার্সন ভুবনেশ্বর কলিতাকেও আক্রমণ করেন তিনি। জয়ার অভিযোগ, বিরোধীদের বক্তব্য শোনা বা তাঁদের অধিকার রক্ষার বিষয়ে কোনও রকমই পদক্ষেপ করেননি চেয়ারপার্সন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘আমরা বিচার চাই। ট্রেজারি বেঞ্চের থেকে আমরা তা আশাও করি না। এই কক্ষ ও কক্ষের বাইরে যাঁরা বসে আছেন, তাঁদের স্বার্থ কী ভাবে রক্ষা করছেন আপনি?’’ সংসদের বাইরে বেরিয়ে জয়া বলেন, ‘‘আমি কারও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। ওঁরা যা বলেছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। ওঁরা যে ভাবে কথা বলেছেন, সে ভাবে কথা বলা উচিত হয়নি। সে জন্য আমি অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছিলাম।’’
বিদেশে প্রচুর সম্পত্তি রাখার অভিযোগে বিদেশি মুদ্রা আইন (ফেমা)-এ জয়া-অমিতাভ বচ্চনের পূত্রবধূ ঐশ্বর্যাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ইডি দফতরে। সোমবার বেলার দিকে তিনি সেখানে পৌঁছন। সন্ধ্যার পরে ইডি দফতর থেকে বেরোন ঐশ্বর্যা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে তিনি তাঁর সম্পদ গচ্ছিত রেখেছেন। অভিযোগ, কর ফাঁকি দেওয়ার জন্যই এমন করেছেন ঐশ্বর্যা।