ফাইল ছবি
নতুন সংসদ ভবনের ছাদে অশোকস্তম্ভের সিংহের মূর্তি নিয়ে বিতর্কের সমাধান চেয়ে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ পুরীকে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার।
গত সপ্তাহে পুজোপাঠ করে ওই অশোকস্তম্ভের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের অভিযোগ, সারনাথে অশোকের আমলে তৈরি হওয়া যে অশোকস্তম্ভ পাওয়া গিয়েছিল, সেই সিংহের সঙ্গে বর্তমান স্তম্ভে সিংহের মুখের অমিল স্পষ্ট। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদীর আমলে তৈরি হওয়া সিংহের মুখ অনেক বেশি হিংস্র। বিরোধীদের অভিযোগ, যা বর্তমান দিনে শাসক দলের প্রকৃত চেহারাকে তুলে ধরেছে। তাঁদের মনোভাবকেই সামনে এনেছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রাক্তন সচিব জহর সরকার আজ মন্ত্রীকে চিঠিতে জানান, জাতীয় প্রতীক এ ভাবে পাল্টানো যায় না বা কোনও শিল্পী নিজের খেয়ালে জাতীয় প্রতীকে পরিবর্তন আনতে পারেন না। অথচ সারনাথের অশোকস্তম্ভের সঙ্গে যে বর্তমান অশোকস্তম্ভের যে কোনও মিল নেই, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কেন থ্রি-ডি প্রযুক্তির সাহায্য না নিয়ে ওই সিংহের মুখ তৈরি করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
জহরের অভিযোগ, সরকারের ধামাধরা কিছু ব্যক্তি দাবি করেছেন, মূর্তিটি সারনাথের মূর্তির চেয়ে চার গুণ বড় ও জমি থেকে ৩২ মিটার উঁচুতে বসানো হয়েছে বলে সেটিকে দেখতে অন্য রকম লাগছে। অথচ কর্নাটক বিধানসভায় গত ৬৫ বছর ধরে বিশাল আকারের অশোকস্তম্ভ রয়েছে। যা নিয়ে কোনও বিতর্ক হয়নি।
কী ভাবে অশোকস্তম্ভ নির্মাণশিল্পীকে বাছা হল, তাঁকে কী গড়তে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, অশোকস্তম্ভ তৈরির খরচ কত ধরা হয়েছিল, তা-ও পুরীর কাছে জানতে চেয়েছেন জহর। চিঠিতে তিনি লেখেন, ওই প্রকল্পের প্রথম খরচ ছিল ৯৭৫ কোটি টাকা। যা পরে বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১২০০ কোটিতে। অশোকস্তম্ভের জন্য ওই বাড়তি খরচ কেন হল, তা জানতে চান তিনি। পাশাপাশি ওই স্থাপত্য বসানোর জন্য দিল্লি আর্বান আর্ট কমিশনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না, তা-ও জানতে চেয়েছেন তিনি।