ভারতের রঙের উৎসবের প্রশংসা জাপানি তরুণীর মুখে। ছবি: পিটিআই।
হোলির দিন জাপানি তরুণীকে হেনস্থার যে ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে, তার ভিত্তিতে মুখ খুললেন নির্যাতিতা বিদেশিনী স্বয়ং। নিজের মতামত জানানোর জন্য তিনি সেই টুইটারকেই বেছে নিয়েছেন। রাগ বা হতাশা নয়, প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভারতকে।
টুইটারে ওই তরুণী একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন। তিনি জানান, ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে তিনি নিজেই পোস্ট করেছিলেন। কিন্তু তা যে ভাইরাল হয়ে যাবে, বুঝতে পারেননি। ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে নানা প্রান্ত থেকে নানা মন্তব্য ধেয়ে আসে। ফলে ভয় পেয়ে ভিডিয়োটি তিনি মুছে দেন।
ভারত এবং তার উৎসব সম্পর্কে কোনও নেতিবাচক মনোভাব প্রসার করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না বলে জানিয়েছেন জাপানি তরুণী। সেই সঙ্গে ওই ভিডিয়ো দেখে যাঁদের খারাপ লেগেছে, তাঁদের কাছে তিনি ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন।
বসন্তের শুরুতে এই রঙের উৎসব কত সুন্দর, তা-ও ব্যাখ্যা করেছেন বিদেশিনী। তিনি জানান, নানা রঙের খেলায় বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার ভারতের এই উৎসব অপূর্ব। ভারতের এই সৌন্দর্যই তিনি ছড়িয়ে দিতে চান।
তরুণী জানান, হোলির দিন তাঁরা দল বেঁধে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন উৎসব দেখতে। দলে অন্তত ৩৫ জন জাপানি পর্যটক ছিলেন। কিন্তু দিল্লির রাস্তায় তাঁকে জাপটে ধরে জোর করে রঙ মাখিয়ে দেওয়া হয়। দেশের পুলিশ প্রশাসনের প্রতি তাঁর আস্থা আছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিদেশিনী।
এই ধরনের ঘটনার পরেও ভারতকে তিনি ভালবাসেন, টুইটারে লিখেছেন জাপানি তরুণী। তিনি জানান, এর আগে তিনি অনেক বার ভারতে এসেছেন। ভারতের সব কিছুই তাঁর খুব পছন্দের। ভারত এমন একটি দেশ, যাকে এই ঘটনার পরেও ঘৃণা করা যায় না।
হোলির দিন ভাইরাল ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছিল কয়েক জন যুবক মিলে জাপানি তরুণীকে জোর করে রঙ মাখাচ্ছেন। তাঁকে জাপটে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনকি, তাঁর মাথায় ফাটানো হয় ডিম।
ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকা থেকে এক নাবালক-সহ তিন জনকে ধরে পুলিশ। তাঁরা এই ঘটনার কথা স্বীকারও করে নেন। জানা যায়, নির্যাতিতা তরুণী ওই ঘটনার পর বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন। এর পর প্রকাশ্যে মুখ খুললেন বিদেশিনী।