কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।
জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের তকমা ‘শীঘ্রই’ ফেরানো হবে বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। শনিবার কেরলে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে এক বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীর এখন আর রাজ্য নয়। শীঘ্রই রাজ্য হবে। কবে হবে, তা নির্দিষ্ট করে না বলে ‘হয়তো কোনও সময়’ বলে থেমে গিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
২০১৯-এ মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরেই কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে এবং জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি হয়। তার পরেপ্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের তকমা ফিরে পাবে। তিন বছর কেটে গেলেও তা হয়নি। জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা ভোটও হয়নি। গত বছর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, প্রথমে আসন পুনর্বিন্যাস হবে। তার পর বিধানসভা ভোট হবে। তার পরে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে। আপাতত শীত পড়ে যাওয়ায় জম্মু-কাশ্মীরের রাজনীতিকরা মনে করছেন, আগামী বছর মার্চ-এপ্রিলের আগে ভোট সম্ভব নয়।
এই আবহে অর্থমন্ত্রী নির্মলা শনিবার বলেন, অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে কেন্দ্রীয় সরকার কর বাবদ আয়ের ৪২ শতাংশ রাজ্যগুলিকে ভাগ করে দিত। জম্মু-কাশ্মীর আর রাজ্য নয় বলে তা কমে ৪১ শতাংশ হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর শীঘ্রই আবার রাজ্য হবে।
বিরোধী দলগুলির অবশ্য অভিযোগ, বিজেপি যত দিন না জম্মু-কাশ্মীরে ক্ষমতা দখল করতে পারবে বলে নিশ্চিত হচ্ছে, তত দিন তারা জম্মু-কাশ্মীরে ভোট করাবে না। ফলে রাজ্য তকমা ফিরে পাওয়াও ঝুলে থাকতে পারে।
কংগ্রেস ছেড়ে জম্মু-কাশ্মীরে নিজের দল গড়েছেন প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ। রাজনীতিকরা মনে করছেন, বিজেপি গুলাম নবির দলের সঙ্গে জোট করে তাঁকে সামনে রেখে ভোটে যেতে পারে।
অন্য দিকে আজ আবার জল্পনা উস্কে দিয়ে গুলাম নবি নিজে বলেছেন, “গুজরাত-হিমাচলে কংগ্রেস ভাল করলে খুবই ভাল কথা। আম আদমি পার্টি দিল্লির দল। এখন পঞ্জাবে ভোট হলে আপ কিছুই পাবে না। গুজরাত, হিমাচলে বিজেপির মোকাবিলা কংগ্রেসই করতে পারে।” কংগ্রেসের অন্দরে প্রশ্ন, জম্মু-কাশ্মীরের ভোটের আগেই কি তবে গুলাম নবির সুর বদলাতে শুরু করেছে!