Jamia Millia Islamia

বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের প্রবেশ বরদাস্ত করব না হুঁশিয়ারি জামিয়ার উপাচার্যের

রবিবারের ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং দিল্লি পুলিশের মধ্যে টানাপড়েন চলছেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৯:৫১
Share:

জামিয়ার উপাচার্য নাজমা আখতার। —ফাইল চিত্র।

জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের প্রবেশ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালেন উপাচার্য নাজমা আখতার।তিনি জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের নিগ্রহ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বিনা অনুমতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

রবিবারের ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং দিল্লি পুলিশের মধ্যে টানাপড়েন চলছেই। তার মধ্যেই সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন নাজমা আখতার। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমার ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পুলিশ যে আচরণ করেছে, তাতে অত্যন্ত আহত আমি। পড়ুয়াদের বলতে চাই, এই লড়াইয়ে তোমরা একা নও। আমি সঙ্গে রয়েছি। তার জন্য যতদূর যেতে হয় যাব।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের প্রবেশের ঘটনায় ক্ষুব্ধ নাজমা বলেন, ‘গতকাল যা ঘটেছে, তা কোনওমতেই মানা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। কে ক্ষতিপূরণ দেবে? সম্পত্তি নষ্টের চেয়েও বড় কথা হল পড়ুয়াদের মানসিকতায় আঘাত হানা হয়েছে। লাইব্রেরিতে ঢুকে তাদের পেটানো হয়েছে। এর তদন্ত হওয়া উচিত। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পুলিশ যাতে ঢুকতে না পারে, তার জন্য মামলা দায়ের করব আমরা। সম্পত্তির ভাঙচুর হলে সেই ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব। তবে পড়ুয়াদের মনে যে প্রভাব পড়েছে, সেই ক্ষতি পূরণ হওয়া সম্ভব নয়। পুলিশি জুলুমে রবিবার ২০০ পড়ুয়া আহত হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ে এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’’

Advertisement

সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমে শনিবারই দিল্লি পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন জামিলায় মিলিয়া ইসলামিয়ার পড়ুয়ারা। সেখানে পড়ুয়াদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিক্ষোভ হঠাতে কাঁদানে গ্যাসের সেলও ফাটানো হয়। তার পরই রবিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নিউ ফ্রেন্ডস কলোনিতে বিক্ষোভ বাধলে, পুলিশ জামিয়া ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশ ছাত্রছাত্রীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement