নিহত জঙ্গি ইসমল মাসুদের আত্মীয়। ছবি: সংগৃহীত।
কাশ্মীরে সেনার সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে মৃত্যু পুলওয়ামা হামলার অন্যতম চক্রী। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র চার্জশিটে নাম ছিল ওই পাকিস্তানি জঙ্গির। গত দু’বছর ধরে তার খোঁজ চলছিল। অবশেষে শনিবার ভোরে তার নাগাল মেলে। এনকাউন্টারে তার মৃত্যু হয়ে। সেনার সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে তার এক সঙ্গীরও।
মৃত দুই জঙ্গিকে মহম্মদ ইসমল আলভি ওরফে লম্বু এবং আদনান বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। ইসমল জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ চাঁই মাসুদ আজহারের আত্মীয়। জইশ-এ আইইডি বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করত সে। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে হামলার পরিকল্পনায় মাসুদের সঙ্গে ইসমলও যুক্ত ছিল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার ভোরে পুলওয়ামার দচিগামের জঙ্গলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাতে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। সেই সময় তাদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেন ভারতীয় জওয়ানরাও। তাতেই ওই দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়।
দু’বছর আগে পুলওয়ামা হামলায় ৪০ জন সিআরপি জওয়ানের মৃত্যু হয়। সেই হামলার সঙ্গে যুক্ত ইসমলের বিরুদ্ধে এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার।