Crime

লকডাউনের মধ্যে গণধর্ষণে জড়িতকে ধর্ষণ দুষ্কৃতীদের

ছেলের বিরুদ্ধে দায়ের ধর্ষণ মামলায় চল্লিশোর্ধ্ব ওই মহিলারও নাম জড়িয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৩২
Share:

লকডাউনের মধ্যে গণধর্ষণ মহিলাকে। —প্রতীকী চিত্র।

বছরখানেক আগে নাবালিকা গণধর্ষণ মামলায় নাম জড়িয়েছিল তাঁর। এ বার নিজেই গণধর্ষণের শিকার হলেন এক মহিলা। লকডাউনের জেরে রাজস্থানের একটি স্কুলে আটকে পড়েছিলেন তিনি। সেখানে তিন জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার রাজস্থানের সওয়াই মাধোপুর জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার ছেলে নাবালিকা গণধর্ষণে অভিযুক্ত। শিশু সুরক্ষা আইনে (পকসো) তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ঝুলছে। সম্প্রতি দৌসা জেল থেকে সওয়াই মাধোপুরে সরিয়ে আনা হয় তাঁকে।

ছেলের বিরুদ্ধে দায়ের ধর্ষণ মামলায় চল্লিশোর্ধ্ব ওই মহিলারও নাম জড়িয়েছিল। কিন্তু গতবছর মার্চে তাঁকে মুক্তি দেয় আদালত। সেই থেকে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে নিয়মিত জেলে যেতেন তিনি। ছেলের সঙ্গে দেখা করতেই গত মাসে সওয়াই মাধোপুরে যান তিনি। কিন্তু লকডাউনের জেরে জয়পুরে নিজের বাড়ি আর ফেরা হয়নি। বরং সেখানেই বাড়ি ভাড়া করে থাকছিলেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: লকডাউন ভঙ্গকারীদের স্পর্শ না করেই ধরার বিশেষ যন্ত্র চণ্ডীগড়ে​

আরও পড়ুন: লকডাউন মানা হচ্ছে? বাজারে ভিড় কেমন? আচমকা পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় দল​

কিন্ত বৃহস্পতিবার লকডাউন উপেক্ষা করে হেঁটে জয়পুরে নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন ওই মহিলা। সেইসময় পুলিশের হেড কনস্টেবল তাঁর পথ আটকান। লকডাউন উপেক্ষা করে বাইরে বেরোনোয় সরকারি স্কুলের দুই শিক্ষককেও আটক করেন ওই কনস্টেবল। তার পর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে স্থানীয় একটি স্কুলে আরও তিন জনের সঙ্গে রাতটুকু তাঁদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়।

পুলিশ চলে যাওয়ার পর দুই শিক্ষক নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলেও, বাকিদের সঙ্গে স্কুলেই থেকে যান ওই মহিলা। সেখানেই ওই তিন জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে দাবি ওই মহিলার। শুক্রবার সকালে বতোড় থানায় অভিযোগ জানান তিনি। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে ঋষিকেশ মীনা, লক্ষ্মণ রেগার এবং কমল খারওয়াল নামের তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। তবে এখনও রিপোর্ট আসেনি।

এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, পুলিশের কেউ ওই রাতে স্কুলে থেকে গেলেন না কেন? একজন মহিলা কনস্টেবলকে স্কুলে পাঠানো হল না কেন? পুলিশের নজর এড়িয়ে দুই শিক্ষকই বা কী ভাবে স্কুল থেকে বেরিয়ে গেলেন, তারও জবাব মেলেনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সওয়াই মাধোপুরের ডেপুটি সুপার পার্থ শর্মা। ওই ঘটনায় হেড কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement