লাগাতার শিশুধর্ষণ নিয়ে উত্তপ্ত জয়পুর

সোমবারের ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এখনও পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৯ ০২:৪০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

বাবার বন্ধু পরিচয় দিয়ে শিশুদের বাড়ি থেকে তুলে আনা এবং তার পরে কাছে কোনও পরিত্যক্ত এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ। তার পরে রক্তাক্ত শিশুটিকে বাড়ির সামনে ফেলে পালিয়ে যাওয়া। একই ছাঁচে, একই এলাকায় পরপর তিনটি অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে জয়পুরের শাস্ত্রীনগরে।

Advertisement

শেষ ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার। সাত বছরের এক বালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণের পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় মোটরবাইক আরোহী এক দুষ্কৃতী। সিসিটিভি ফুটেজে ধরাও পড়েছে অপহরণের দৃশ্য। মেয়েটির পরিবার জানায়, অভিযুক্ত ওই বালিকার বাড়ি গিয়ে দাবি করে সে তার বাবার বন্ধু। এর পরে তাকে মোটরবাইকে করে আমানিশাহ কা নালা এলাকায় তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার বাড়ির সামনে মেয়েটিকে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।

পুলিশের ধারণা, সব ক’টি ঘটনার পিছনেই একই লোকের হাত রয়েছে। ২১ ও ২২ জুনেও একই রকম ঘটনার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। সেখানেও অভিযুক্ত শিশুদের বাড়িতে গিয়ে তাদের বাবার বা দাদুর বন্ধু বলে নিজেকে পরিচয় দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত অপরাধীকে চিহ্নত করা যায়নি।

Advertisement

সোমবারের ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এখনও পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। গত কাল দুপুর ২টো থেকে বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখে প্রশাসন। রাজস্থান সরকার নির্যাতিতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

এরই মধ্যে সামনে এসেছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড বুরোর একটি রিপোর্ট। সেখানে দেখা যাচ্ছে ১৯৯৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ভারতে শিশুদের উপরে অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় চার গুণ। ১৯৯৪-এ শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল মোট ৩,৯৮৬টি। ২০১৬-য় সেই সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে ১৬,৮৬৩-এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement