(বাঁ দিকে) ডাকাতিতে অভিযুক্ত রোহিত শর্মা। স্পা সেন্টার থেকে পালানোর দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে (ডান দিকে) । ছবি: সংগৃহীত।
ডাকাতির ঘটনায় ধৃতকে নিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য সরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন দুই কারারক্ষী। চিকিৎসা করিয়ে ফেরার পথে কারারক্ষীরা সেই ডাকাতকে নিয়ে স্পা-এ ঢুকেছিলেন। তার পরই সেখানকার কর্মীদের বলেন, তাঁদের হেফাজতে থাকা অভিযুক্তের উপরে নজর রাখতে হবে। এই নির্দেশ দিয়ে কারারক্ষীরা মাসাজ পার্লারে ঢুকে পড়েন। তাঁরা যখন মাসাজ করাতে ব্যস্ত, সেই সুযোগে অভিযুক্ত শৌচালয়ে যাওয়ার বাহানা দিয়ে স্পা থেকে চম্পট দেন।
মাসাজ শেষে কারারক্ষীরা যখন অভিযুক্তকে নিয়ে জেলের উদ্দেশে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন স্পা-এর এক কর্মী জানান, অভিযুক্ত সকলের চোখ এড়িয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। ব্যস, এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায়। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও দুই কারারক্ষী এবং অভিযুক্ত না ফেরায় জেলেও শোরগোল পড়ে যায়।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের। গত ২৫ ডিসেম্বর উজ্জয়িনীতে মদ প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় ১৮ লক্ষ টাকা ডাকাতি হয়। পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে রোহিত শর্মা নামে এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ৫ জানুয়ারি থেকে রোহিতের ঠিকানা ছিল খাচরোর জেল। কিন্তু তাঁর পায়ে আঘাত থাকায় মেডিক্যাল পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। সেই অনুযায়ী গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রোহিতকে নিয়ে খাচরোরের সরকারি হাসপাতালে যান কারারক্ষী রাজেশ শ্রীবাস্তব এবং নিতিন ডালোদিয়া। সাড়ে ১২টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা তিন জন। অভিযুক্তকে এর পর জেলে না নিয়ে গিয়ে ৩০ কিলোমিটার দূরে রতলমে একটি স্পা সেন্টারে যান রাজেশ এবং নিতিন। সেখানে রাজেশ এবং নিতিন মাসাজ করাতে ঢোকেন। আর সেই সুযোগেই পালিয়ে যান অভিযুক্ত রোহিত। দুই কারারক্ষীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে বেশ কয়েকটি দল গঠন করে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।