চার মাসে দ্বিতীয় বার আয়কর অভিযান ‘নিউজলন্ড্রি’-র দফতরে। ছবি: সংগৃহীত।
‘দৈনিক ভাস্কর’-এর পর এ বার ‘নিউজলন্ড্রি’। ফের কর ফাঁকির অভিযোগে আয়কর দফতরের নিশানায় সংবাদমাধ্যম। শুক্রবার দুপুরে সংবাদ ওয়েবসাইট ‘নিউজলন্ড্রি’-র দফতরে অভিযান শুরু করেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। গভীর রাত পর্যন্ত চলে সেই ‘ট্যাক্স সার্ভে’।
‘নিউজলন্ড্রি’-র কর্ণধার অভিনন্দন সেখরি শনিবার টুইটারে আয়কর হানার কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা এসেই আমার মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেন। সেখানে রাখা নানা তথ্য তাঁরা ডাউনলোড করেন। এতে আমার গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। আমাকে আইনজীবীর সঙ্গেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি।’’
অভিনন্দন জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুর সওয়া ১২টা নাগাদ ‘নিউজলন্ড্রি’-র দফতরে অভিযান শুরু করেন ছ’-সাত জন আয়কর আধিকারিকেরা। অভিযান চলে রাত ১২টা ৪০ পর্যন্ত। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের দফতরের সমস্ত কম্পিউটার, ল্যাপটপ এমনকি ব্যক্তিগত মোবাইল ঘেঁটেও নানা তথ্য সংগ্রেহ করা হয়। জুন মাসেও একই ভাবে তাঁদের দফতরে আয়কর হানা হয়েছিল জানিয়ে পুরো ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত’ বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
‘নিউজলন্ড্রি’-র পাশাপাশি শুক্রবার ‘নিউজক্লিক’ নামে একটি সংবাদ ওয়েবসাইটের দফতরেও হানা দেয় আয়কর বিভাগের টিম। সাম্প্রতিক সময়ে তৃতীয় বার এই নিয়ে ওই সংস্থায় এমন হানা হল। আয়কর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই দু’টি ‘ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান’ সঠিক ভাবে কর জমা করেছে কি না, তা জানতে নিয়ম মেনেই অভিযান চালানো হয়েছে।
জুলাই মাসে সংবাদপত্র দৈনিক ভাস্করের বিভিন্ন দফতরে কর ফাঁকির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছিল আয়কর দফতর। সে সময় কোভিড-১৯ মোকাবিলা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নানা ‘ব্যর্থতা’ সামনে এনেছিল ওই সংবাদপত্র। কেন্দ্রের নানা ‘ভ্রান্ত দাবি’ও তারা ধারাবাহিক ভাবে খণ্ডন করছিল। সে সময় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধে’র অভিযোগ তুলেছিলেন। ঘটনাচক্রে, ‘নিউজলন্ড্রি’ এবং ‘নিউজলিঙ্ক’ও সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছে।