মহাকাশে বাড়ল দেশের নজরদার

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে ‘পিএসএলভি সি-৪৭’ রকেটে চেপে পাড়ি দেয় কার্টোস্যাট-৩।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৩
Share:

মহাকাশে পাড়ি: শ্রীহরিকোটা থেকে ‘কার্টোস্যাট-৩’-এর উৎক্ষেপণ। বুধবার। পিটিআই

এ-ও এক নজরদারি। মহাকাশে পাক খেতে খেতে দেশের মাটিতে নজর রাখে তারা। কোথায়, কী ভাবে শহর বাড়ছে, জমি ব্যবহারের চরিত্র বদলাচ্ছে কি না, উপকূলের কী অবস্থা সে সব জানিয়ে দেয় মাটিতে থাকা বিজ্ঞানীদের। এত দিন আট জন সেই কাজ করছিল। এ বার সেই দলে যোগ দিল নতুন সদস্য। শক্তি, বুদ্ধিতে বাকিদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে সে। সূত্রের খবর, বুধবার মহাকাশে পাড়ি দেওয়া ভারতের কৃত্রিম উপগ্রহ ‘কার্টোস্যাট-৩’ এ সব তো কাজ করবেই, তার পাশাপাশি দেশের সামরিক বাহিনীর হয়েও গোয়েন্দাগিরি করবে সে।

Advertisement

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে ‘পিএসএলভি সি-৪৭’ রকেটে চেপে পাড়ি দেয় কার্টোস্যাট-৩। তার সহযাত্রী হয়েছিল ১৩টি মার্কিন খুদে উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট। উৎক্ষেপণের ১৭ মিনিট পরে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে যায় কার্টোস্যাট-৩। তার পরের ১০ মিনিটে মার্কিন খুদে উপগ্রহগুলিও নিজের নিজের কক্ষপথে পৌঁছয়। মোদী সরকার ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা হিসেবে নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে একটি সংস্থা তৈরি করেছে। তার মাধ্যমেই বিদেশি উপগ্রহ উৎক্ষেপণের বরাত মিলেছে বলে ইসরো সূত্রের খবর।

মানচিত্র তৈরির বিদ্যাকে কার্টোগ্রাফি বলা হয়। সেই কাজের সহায়ক উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটকে ‘কার্টোস্যাট’ নাম দেওয়া হয়েছে। ২০০৫ সালে কার্টোস্যাট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। তার পরে কার্টোস্যাট -২ সিরিজের আরও সাতটি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয়। কার্টোস্যাট-৩ তৈরির ক্ষেত্রে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন এ দিন বলেছেন, ‘‘ভূমির উপরে নজরদারির জন্য তৈরি উপগ্রহগুলির মধ্যে কার্টোস্যাট-৩ সব থেকে উন্নত মানের।’’ ইসরো বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, নগরায়ণ, গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন, উপকূলীয় ভূমিক্ষয় রুখতে সহায়ক হবে। সূত্রের দাবি, এই উপগ্রহের উন্নত মানের ক্যামেরা দিয়ে স্পষ্ট ছবি মিলবে। তার ফলে সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি ঘাঁটি বা শত্রু শিবিরের ছবিও স্পষ্ট ভাবে মিলবে। তাতে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সুবিধা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement