ISRO

প্রথম ম্যাচেই ছক্কা জিএসএলভি-র

১৯৯৯ সালের ২৬ মে, প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছিল ইসরো। সে বারে ইসরোর কাণ্ডারী ছিল ‘পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল’ বা পিএসএলভি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২২ ০৮:০৮
Share:

এক ঝাঁক কৃত্রিম উপগ্রহ পাড়ি দিল মহাকাশে। ছবি: পিটিআই

ভারতের মাটি থেকে এক ঝাঁক কৃত্রিম উপগ্রহ পাড়ি দিল মহাকাশে। সৌজন্যে এ দেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো। উচ্চতায় ৪৩.৫ মিটার, ওজন ৬৪৪ টন বা ৬৪৪০০০ কেজি, এ পর্যন্ত ইসরোর তৈরি সবচেয়ে ভারী রকেট ‘মার্ক ৩’ পৃথিবীর কক্ষপথে সাবধানে ও সুস্থ শরীরে পৌঁছে দিল একটি ব্রিটিশ সংস্থার তৈরি ৩৬টি কৃত্রিম উপগ্রহকে। যাদের মোট ওজন ৫৭৯৬ কেজি। এই সফল বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণ ইসরোর মুকুটে গুঁজে দিল নতুন পালক।

Advertisement

কাল মধ্যরাত ১২.০৭-এ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারের সেকেন্ড লঞ্চ প্যাড (এসএলপি) থেকে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেয় মার্ক ৩ (জিএসএলভি মার্ক ৩)। সঙ্গে নিয়ে যায় ব্রিটিশ সংস্থা ওয়ানওয়েবের তৈরি ৩৬টি কৃত্রিম উপগ্রহকে। প্রতিটি স্যাটেলাইটকে সফল ভাবে কক্ষপথে স্থাপন করেছে ভারতীয় মহাকাশযানটি। ওয়ানওয়েবের এটি ১৪তম উৎক্ষেপণ। এই নিয়ে তারা মোট ৪৬২টি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাল। দ্রুত গতির ও বাধাহীন ইন্টারনেট পরিষেবা দেবে ‘লো আর্থ অরবিট’ এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলি।

১৯৯৯ সালের ২৬ মে, প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছিল ইসরো। সে বারে ইসরোর কাণ্ডারী ছিল ‘পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল’ বা পিএসএলভি। ৪৫ কেজির একটি জার্মান কৃত্রিম উপগ্রহ ও ১১০ কেজির একটি কোরিয়ান কৃত্রিম উপগ্রহকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করেছিল সে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণায় সে দিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার পর থেকে ৩৪৩টি বিদেশি স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ বাণিজ্যিক ভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠিয়েছে পিএসএলভি।

Advertisement

গত ২৩ বছরে মোট ৩৪৫টি বিদেশি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের অভিজ্ঞতা নিয়েও এ বার একটু চিন্তাতেই ছিল ইসরো। কারণ খারাপ আবহাওয়া। বঙ্গোপসাগর জুড়ে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ। এ অবস্থায় উৎক্ষেপণ সহজ নয়। তার উপর ‘জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল-মার্ক ৩’ বা ‘জিএসএলভি-এমকে৩’-র এটি প্রথম উৎক্ষেপণ। ভারতের সবচেয়ে ভারী উৎক্ষেপণ ব্যবস্থাটি অবশ্য ময়দানে নেমেই ছক্কা হাকিয়েছে।

কাল রাত ১২টা বেজে ৭ মিনিটে উৎক্ষেপণের পর সবটাই বেশ মসৃণ ভাবে হয়েছিল। ১.৩০-এর মধ্যে ৩৬টি কৃত্রিম উপগ্রহ কক্ষপথে পৌঁছে যায়। পুরো কর্মকাণ্ডের পরেও একাধিক বিশেষজ্ঞ চোখ নজর রাখে মার্ক ৩-এর গতিবিধির উপর। ইসরোর সঙ্গে এই উৎক্ষেপণ পর্বে যুক্ত ছিল ‘নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড’ এবং ব্রিটেনের ওয়ানওয়েব। শুধু বাণিজ্যিক ভাবে নয়, প্রযুক্তির দিক থেকেও এটি সুবিশাল সাফল্য ইসরোর।

জিএসএলভি-র এই সাফল্যে ভারতের হাতে এল দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। বিশ্ববাজারে গ্রাহকদের জন্য আরও একটি মহাকাশযান। পিএসএলভি-ও আগের মতো কাজ চালিয়ে যাবে। জিএসএলভি বা মার্ক ৩ ওজনদার গ্রাহকদের বাজার ধরবে। অর্থাৎ একসঙ্গে অনেক স্যাটেলাইট, অনেক ওজন মহাকাশে পৌঁছে দেবে সে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement