ফাইল চিত্র।
কাশ্মীরে লাগাতার অশান্তির সুযোগ নিয়ে এ বার উপত্যকা জুড়ে জাল বিছানোর চেষ্টা করছে আইএস। এত দিন জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে আইএসের প্রভাব টের পাওয়া গেলেও গোয়েন্দারা মনে করছেন, এ বার কাশ্মীরকেই ঘাঁটি বানানোর চেষ্টা করছে জঙ্গি সংগঠনটি। চলতি বছরের গোড়াতে এই সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণও পেয়েছেন তাঁরা। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, গত ছ’মাসের মধ্যে ইন্টারনেট চ্যাটে সিরিয়া, ইরাকের সন্দেহভাজন আইএস হ্যান্ডলারদের (মধ্যস্থতাকারী) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে কাশ্মীর থেকে।
গোয়েন্দাদের একাংশের দাবি, উত্তর কাশ্মীরের সোপোর, মধ্য কাশ্মীরের প্রাং ও লার, রিয়াসি, জম্মুর খিস্তওয়ার এবং ডোডা এলাকা থেকে সিরিয়া ও ইরাকে আইএস হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছে এক দল তরুণ। পুলিশ সূত্রের খবর, গত মাসেই পুলওয়ামায় এক নিহত হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গির কবরে হাজির হয় দুই মুখোশধারী বন্দুকবাজ। প্রায় মিনিট তিনেকের উত্তপ্ত বক্তৃতায় শরিয়তি আইনের গুরুত্ব ব্যাখ্যার পাশাপাশি তালিবান ও আইএস জঙ্গিদের আদর্শ মেনে চলার কথা বলে ওই দু’জন। যদিও ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে হিজবুল মুজাহিদিনের মতো কাশ্মীরের স্থানীয় জঙ্গি সংগঠনগুলি। বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা। তাঁরা মনে করছেন, ইসলামি জঙ্গি সংগঠনটি ডালপালা মেললে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হবে উপত্যকায়।
আরও পড়ুন:শুভেচ্ছা সফরেও মানা
ফেব্রুয়ারিতে শ্রীনগরে বিক্ষোভকারীদের হাতে আইএস পতাকা দেখা যাওয়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটির সমর্থনে পোস্টারও পড়ে। তবে এ বার অভিযোগ আরও গুরুতর। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ইন্টারনেটে চ্যাটের মাধ্যমে সরাসরি কাশ্মীর থেকে ইরাক ও সিরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। গত এক বছরে তা আরও বেড়েছে। ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের গোড়াতে এই ধরনের কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা নজরে আসে তাঁদের। এ বছর থেকেই শুরু হয় নজরদারি প্রক্রিয়া।