প্রতীকী ছবি।
ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে গুজরাতে। আর এই ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যেই ২৬/১১-র ধাঁচে বড়সড় হামলার ছক কষেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই খবর দিচ্ছে মেল টুডে।
আরও পড়ুন: ‘মোটা’ বলায় সহপাঠীকে খুন করল ক্লাস সেভেনের ছাত্র
আসছে ডিসেম্বরে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন। খোদ প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যের নির্বাচন ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই সারা দেশের আগ্রহ তীব্র। নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গাঁধীর মতো ভিভিআইপি রাজনীতিকরা রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে আসবেন। এমনিতেই তার চাপ রয়েছে রাজ্য প্রশাসনের কাঁধে। তার উপর গোয়েন্দাদের এই সতর্কবার্তায় প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজটা আরও চওড়া হল।
আজমল কসাবরা যে ভাবে সমুদ্র পথে এসে মুম্বইয়ের তাজ হোটেল-সহ বেশ কয়েক জায়গায় পরপর হামলা চালিয়েছিল, গোয়েন্দরা মনে করছেন, গুজরাতে হামলা চালানোর জন্য ঠিক একই ভাবে জঙ্গিদের ঢোকাতে পারে আইএসআই। এ মাসের গোড়াতেই ভারত-পাক আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে চার ভারতীয় মত্স্যজীবীকে ধরে পাকিস্তানের উপকূলরক্ষী বাহিনী। তাঁদের কাছ থেকে আধার ও ভোটার কার্ড কেড়ে নেয় তারা। সন্দেহ, এই ধরণের পরিচয়পত্রকে কাজে লাগিয়েও জঙ্গিদের এ দেশে পাঠাতে পারে পাকিস্তান। মুম্বইয়ে হামলা চালানোর জন্য ২০০৮-এর নভেম্বরে পাকিস্তানি জঙ্গিরা এম ভি কুবের নামে ভারতীয় মত্স্যজীবীদের একটি নৌকা অপহরণ করেছিল। তার পর থেকে মত্স্যজীবীদের পরিচয়পত্র দেওয়া শুরু করে ভারত সরকার। গত ৪-৫ বছরে প্রায় ২ লক্ষ বায়োমেট্রেকি কার্ড দেওয়া হয়েছে গুজরাতের মত্স্যজীবীদের।
আরও পড়ুন: পুড়ল লাগোয়া বস্তি, জোর বাঁচল বান্দ্রা স্টেশন
এ ছাড়াও, গত কয়েক বছর ধরে গুজরাত সংলগ্ন সমুদ্রকে চোরাচালান ও অনুপ্রবেশের জন্য ব্যবহার করার লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা। ২০১৪-তে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর তাড়া খেয়ে পোরবন্দরের কাছে মাদকভর্তি একটি পাকিস্তানি নৌকা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয় সন্দেহভাজন কিছু লোক। পরে একটি মার্চেন্ট ভেসেল থেকে ১৫০০ কেজি মাদক আটক করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। এই চোরাচালানের পথে সন্ত্রাসবাদী দলকে গুজরাতে ঢোকাতে পারে পাকিস্তান- আশঙ্কা গোয়েন্দাদের।