জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার এবং আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। —ফাইল চিত্র ।
আর কত বার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র সঙ্গে হাত মেলাবেন নীতীশ কুমার? বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান কি ইতিহাস তৈরি করতে চান? এ বার সরাসরি প্রশ্ন তুলল লালুপ্রসাদ যাদবের দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। আরজেডি শনিবার নীতীশকে বিহারের ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকারের ভবিষ্যৎ কী হবে অর্থাৎ, তিনি মহাজোট থেকে বেরিয়ে যাবেন কি না, সে বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট ভাবে জানাতে বলেছে।
আরজেডি জাতীয় সহ-সভাপতি শিবানন্দ তিওয়ারি জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থান কী হবে, তা জানতে নীতীশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি। ফলে বিহারের পাশাপাশি জাতীয় স্তরেও নীতীশের জোটবদল নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। জল্পনা, আগামী রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন তিনি। দূরত্ব তৈরি করবেন আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে।
সেই প্রসঙ্গেই এ বার সরাসরি মুখ খুলল আরজেডি। জল্পনা প্রসঙ্গে শিবানন্দ বলেন, ‘‘শুক্রবার আমরা নীতীশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উনি আমাদের সময় দেননি। আমরা ভেবেছিলাম নীতীশ আর এমন ভুল করবেন না। এখন বোঝার এবং জানার কী আছে? সব কিছু পরিষ্কার, স্পষ্ট। কত বার আর তিনি ও দিকে (এনডিএ) যাবেন? উনি কি ইতিহাস তৈরি করতে চান?’’
তবে আরজেডি সাংসদ মনোজ কুমার ঝা জানিয়েছেন যে, তিনি আশা করছেন নীতীশ খুব শীঘ্রই বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জল্পনার অবসান ঘটাবেন। মনোজের কথায়, ‘‘আমরা বিহারের জনগণের কল্যাণার্থে এবং বিজেপিকে পরাজিত করতে একসঙ্গে সরকার গঠন করেছি। কিন্তু নীতীশকে নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তা জনজীবনকে প্রভাবিত করছে। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই বিভ্রান্তি দূর করতে পারেন। আমরা আশা করি শীঘ্রই তিনি তা করবেন।’’
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরজেডির এক পরিচিত নেতা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, নীতীশ অনেক বছর আগে আমাদের সঙ্গে যা করেছিলেন, তা আবার যাতে না হয়, সেই পরিকল্পনা আরজেডির রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে, এর আগেও বিহারের রাজনীতিতে নীতীশের জোটবদলের ইতিহাস রয়েছে। সাম্প্রতিক কালের মধ্যে ২০১৭ সালে আরজেডি-কংগ্রেস জোট ত্যাগ করে বিজেপির সঙ্গে সরকার গঠন করেছিল নীতীশ নেতৃত্বাধীন জেডিইউ। এর পর ২০২২ সালে অগস্টে আবার বিজেপি-বিরোধী জোটে ফেরেন তিনি।