দিল্লির তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টায়। ছবি: পিটিআই।
বুধবার দিল্লির তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৫২.৯ ডিগ্রি। যা দেশের সর্বকালীন নজিরও বটে। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির মুঙ্গেশপুরের স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্রে বুধবার এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার মুঙ্গেশপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২.৯ ডিগ্রি। এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে মৌসম ভবন। ওই আবহাওয়া কেন্দ্রের তাপমাত্রামাপক সেন্সর ঠিক মতো কাজ করছে কি না তা খতিয়ে দেখছে মৌসম ভবন।
এ বিষয়ে মৌসম ভবনের ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, “দিল্লিতে মোট ২০টি আবহাওয়া কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টিতেই তাপমাত্রার পতন লক্ষ করা গিয়েছে। সব ক’টিতেই গড় তাপমাত্রা ছিল ৪৬-৫০ ডিগ্রির মধ্যে।” তিনি আরও বলেন, “মুঙ্গেশপুরের কেন্দ্রটির তাপমাত্রার পরিমাপ ঠিক করে পরীক্ষা করা দরকার। এর জন্য একটি তদন্তকারী দলকেও সেখানে পাঠানো হয়েছে।” স্থানীয় কিছু কারণের জন্যও মুঙ্গেশপুরের তাপমাত্রা বেশি হতে পারে বলে অনুমান মহাপাত্রের।
ভূবিজ্ঞান মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “এখনই আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে, দিল্লির তাপমাত্রা ৫২.৯ ডিগ্রি হওয়া কিছুটা অস্বাভাবিক। মৌসম ভবনের আধিকারিকদের এ বিষয়ে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।”
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করে মৌসম ভবনের আঞ্চলিক প্রধান কুলদীপ শ্রীবাস্তব পিটিআইকে বলেন, “শহরের উপকণ্ঠগুলিতে রাজস্থান থেকে আগত গরম বাতাস প্রথম আঘাত করে। মুঙ্গেশপুর, নরেলা এবং নাজফগড়ের মতো এলাকাগুলিই প্রথম এই গরম বাতাসের পূর্ণ শক্তি অনুভব করেছে।”
বুধবার দুপুরে গনগনে আঁচে পুড়লেও বিকালে বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে দিল্লিতে। বুধবার বিকেলে রাজধানীতে বেশ কিছু ক্ষণ মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কমেছে।
দিল্লির তীব্র গরমের হাত থেকে কচিকাঁচাদের রেহাই দিতে সব স্কুলকে ৩০ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গরমে বাতানুকূল যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুতেও টান পড়েছে দিল্লিতে। সেখানে বিদ্যুতের চাহিদাও তুঙ্গে। এর ফলে লোডশেডিংয়ের সম্ভাবনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে মূলত বয়স্ক এবং শিশুদের সাবধানে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। দুপুরে যথাসম্ভব বাড়িতে থাকা, বেশি করে ওআরএস জাতীয় পানীয় খাওয়া, কাটা ফল বা অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার না খাওয়ার উপরে জোর দিচ্ছেন তাঁরা।