স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজছে দিল্লিবাসী। ছবি: পিটিআই ।
হাফ সেঞ্চুরি পেরোল দিল্লির তাপমাত্রা। বুধবার দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছল ৫২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও বটে। ভারতীয় মৌসম ভবন (আইএমডি) জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম দিল্লির মুঙ্গেশপুরের স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্রে বুধবার এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মুঙ্গেশপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৯.৯ ডিগ্রি। বুধবার তা ৫০ ডিগ্রি ছাপিয়ে গেল। বুধবার দুপুরে গনগনে আঁচে পুড়লেও বিকালে বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে দিল্লিতে। বুধবার বিকেলে রাজধানীতে বেশ কিছু ক্ষণ মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কমেছে।
উল্লেখ্য, উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতে দহনজ্বালা। গরমে হাঁসফাঁস করছে দিল্লি। এপ্রিল থেকেই তাপপ্রবাহ চলেছে পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে। গত কয়েক দিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে দিল্লি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকছে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। হাওয়া অফিস সতর্কবার্তা জারি করে জানিয়েছিল, এই কয়েক দিন রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় গরম বৃদ্ধি পাবে। বুধবার দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৪৬ ডিগ্রির কাছাকাছি। তবে বেলা বাড়তে দেখা গেল তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি পেরিয়ে গিয়েছে।
শুধু দিল্লি নয়, উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশেই তাপপ্রবাহ চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, পঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাতের বিস্তীর্ণ অংশে।
দিল্লির তীব্র গরমের হাত থেকে কচিকাঁচাদের রেহাই দিতে সব স্কুলকে ৩০ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গরমে বাতানুকূল যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুতেও টান পড়েছে দিল্লিতে। সেখানে বিদ্যুতের চাহিদাও তুঙ্গে। এর ফলে লোডশেডিংয়ের সম্ভাবনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে মূলত বয়স্ক এবং শিশুদের সাবধানে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। দুপুরে যথাসম্ভব বাড়িতে থাকা, বেশি করে ওআরএস জাতীয় পানীয় খাওয়া, কাটা ফল বা অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার না খাওয়ার উপরে জোর দিচ্ছেন তাঁরা।
প্রচণ্ড গরমে রাজধানীতে জলসঙ্কটও দেখা দিয়েছে। ডিজেবি বুধবার ঘোষণা করেছে, জল অপচয় করলেই দু’হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে দিল্লিবাসীদের। ডিজেবির ঘোষণা করা এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে জল উপচে পড়লে, ব্যক্তিগত গাড়ি বা অন্যান্য যানবাহন ধুলে এবং নির্মাণ ও বাণিজ্যিক কারণে পানীয় জল ব্যবহার করলেই দিতে হবে জরিমানা।