বেসুরো শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। ফাইল চিত্র ।
অনিশ্চয়তার দোরগোড়ায় মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ অঘাড়ী সরকারের ভাগ্য। এর মধ্যেই শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়ক তথা মহারাষ্ট্রের নগরোন্নয়ন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে বলেও জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের জোট সরকারকে বাঁচাতে ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় বৈঠক করেছেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সরকার বাঁচানোর বিভিন্ন উপায় নিয়েও তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর সেই উপায়গুলির মধ্যে বেসুরো শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করে সরকার বাঁচানোর পথ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
সূত্র অনুযায়ী, বুধবার সন্ধ্যায় উদ্ধবের বাসভবনে শরদ এবং উদ্ধবের মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বাঁচার একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আর তখনই শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়টি উঠে আসে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই পরামর্শ না কি এসেছে এনসিপি প্রধানের কাছ থেকেই। শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করা ছাড়াও মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায় আর কী কী রদবদল করা যেতে পারে, তা নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলেও শিবসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে।
ফেসবুক লাইভে এসে উদ্ধব আগেই জানিয়েছিলেন, বেসুরো বিধায়করা এবং তাঁর শিব সৈনিক ভাইয়েরা যদি চান এবং তাঁর মুখের উপর এসে বলেন, তা হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন। পাশাপাশি তিনি শিবসেনার সভাপতিত্ব ছাড়তে রাজি আছেন বলেও মন্তব্য করেন। তবে এখনই তাঁর সব পদ ছাড়ার কথা ভাবা উচিত নয় বলেই উদ্ধবকে পরামর্শ দেন শরদ। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রাখা উচিত বলেও শরদ তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন বলে শিবসেনা সূত্রে খবর। এই বৈঠকে এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেও উপস্থিত ছিলেন। এনসিপি প্রধান নাকি উদ্ধবকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, এই সঙ্কটের সময় উদ্ধব যা সিদ্ধান্ত নেবেন তাতেই তিনি এবং তাঁর দল সমর্থন করবেন।
তবে এই বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব বুধবার রাতে তাঁর সরকারি বাসভবন ‘বর্ষা’ ছেড়ে পৈতৃক ভিটে মাতোশ্রীতে চলে গিয়েছেন। তবে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘উদ্ধবই মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন। তিনি ইস্তফা দেবেন না। প্রয়োজনে বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার মুখোমুখি হবেন।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।