মোদী সরকারের সমালোচনা করার জন্যই কি কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে অভিজিতকে?

আজ অভিজিতের সমর্থনে টুইট করেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু বিজেপির আক্রমণও চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯ ০২:২৮
Share:

ছবি: এএফপি।

বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল ‘বাম-ঘেঁষা’ বলেছিলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই প্রসঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মনে করেন, তাঁর পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পরামর্শ চাইলে দলমত নির্বিশেষে যে কোনও সরকারকেই তিনি তা দিতে প্রস্তুত। অভিজিতের কথায়, ‘‘কারও সঙ্গে মতপার্থক্য হওয়া নিয়ে আমার সমস্যা নেই। আমি তাতে অভ্যস্ত। কিন্তু এমন ভাষা ব্যবহার করা উচিত নয় যা মানুষকে অপমান করে।’’

Advertisement

এক সাক্ষাৎকারে অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময়ে আমরা গুজরাতে কাজ করেছি। আমাদের ডেপুটি ডিরেক্টরের সঙ্গে মোদীর ছবিও রয়েছে। সেই সরকার খুবই সহযোগিতা করেছিল। আমাদের পরামর্শ মেনে তারা ফলও পেয়েছে।’’ পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পাশাপাশি হরিয়ানা ও তামিলনাড়ুতেও তাঁরা কাজ করেছেন বলে জানিয়ে অভিজিৎ বলেন, ‘‘আমি নিজেকে সার্জন মনে করি, যাঁর কাজ রোগীকে ভাল করা।’’

মোদী সরকারের সমালোচনা করার জন্যই কি কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে? উত্তরে অভিজিৎ জানান, ১৯৯৭ সালে পি চিদম্বরম যখন তাঁর ‘স্বপ্নের বাজেট’ পেশ করেন, তখন তিনি বলেছিলেন যে, এটি এমন কিছু মহান বাজেট নয়। তা হলে এখন কেন এমন কথা বলা হবে? নোবেলজয়ীর কথায়, ‘‘এ রকম তো নয় যে, কোনও সরকারের আদর্শকে আমি পছন্দ করি না বলে তাকে ভুল পরামর্শ দেব! সেটা তো চরম অপেশাদার, অমানুষের কাজ।’’

Advertisement

আজ অভিজিতের সমর্থনে টুইট করেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু বিজেপির আক্রমণও চলছে। এক সাক্ষাৎকারের অংশ-সহ বিজেপির মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অমিত মালবীয় টুইটারে লেখেন, ‘‘রাহুল গাঁধীর মন্তব্য যদি অভিজিতের মর্যাদা হ্রাসের পক্ষে যথেষ্ট না-হয়, তা হলে দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা শুনুন। তাঁর মতে, বিক্রিবাটা বাড়ানো এবং গরিবদের ধনী করার একমাত্র পথ হল ‘ডোল’ দেওয়া। এর পরেও তাঁকে বামপন্থী বলবেন না যেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement