সংক্রমণের আবহে টিকাকরণে বাধা হতে পারেনা আধার, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
টিকা নেওয়ার জন্য বন্দিদের কি আধার কার্ড থাকা কি একান্তই জরুরি? কেন্দ্র এবং মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে জানতে চাইল বম্বে হাই কোর্ট। তাদের প্রশ্ন, বাড়তে থাকা সংক্রমণের আবহে স্রেফ আধার কার্ড টিকাকরণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে কি? এ ব্যাপারে আদালতের পরামর্শ, যদি তা-ই হয় তবে বরং টিকাকরণ শিবিরের সঙ্গেই আধার নথিভুক্তকরণের ব্যবস্থাও করুক সরকার।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের সংশোধনাগারগুলিতে বন্দিদের মধ্যে দ্রুত কোভিড সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছিল। অথচ তার পরও উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যের ৩টি সংশোধনাগারে বন্দিদের টিকাকরণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্দিদের অনেকেরই আধার কার্ড না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। শুক্রবার এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বম্বে হাই কোর্ট জানতে চেয়েছে, বন্দিদের টিকাকরণের জন্য আধার কার্ড থাকা কি একান্তই জরুরি? যদি তা হয়, তবে যে সব বন্দিদের সঙ্গে আধার কার্ড নেই, তাদের টিকা নেওয়ার জন্য কি অন্য কোনও বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া যায়? কারণ ক্রমশ বাড়তে থাকা সংক্রমণের আবহে স্রেফ আধার কার্ডের জন্য টিকাকরণ বন্ধ থাকবে, এমনটা তো হতে পারে না। কেন্দ্র এবং মহারাষ্ট্র সরকারকে এই প্রশ্ন করার পাশাপাশি আদালত জানতে চেয়েছে, সেক্ষেত্রে সংশোধনাগারগুলিতে টিকাকরণ শিবির করে সেখানেই বন্দিদের বায়োমেট্রিক তথ্য এবং আধার নথিভুক্তকরণের কাজ করা যায় কি না।
বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি জি এস কুলকার্নির ডিভিশন বেঞ্চে এ সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তার শুনানিতে শুক্রবার হাই কোর্টের বেঞ্চ বলে, ‘‘যদি আধার কার্ডই টিকাকরণের বাধার কারণ হয়ে থাকে তবে সংশোধানাগারের মধ্যে আধার নথিভুক্তকরণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হোক।’’
আদালতকে জানানো হয়েছিল, টিকাকরণের জন্য আধার কার্ড জরুরি বলে নীতি নিয়েছে কেন্দ্র। হাই কোর্ট বলেছে, সংক্রমণ রোধের একমাত্র উপায় আপাতত এই টিকাকরণ। তাই শুধু আধার কার্ড না থাকার কারণ দেখিয়ে টিকাকরণ বন্ধ করা যুক্তিযুক্ত নয়।