প্রতীকী ছবি।
শুক্রবারই জানা গিয়েছিল, যাত্রীদের প্রদত্ত যাবতীয় তথ্য বিক্রি করে বাড়তি এক হাজার কোটি টাকা মুনাফা করার চেষ্টা করছে ভারতীয় রেল। রেলের অধীনস্থ সংস্থা আইআরসিটিসি এই কাজে উপদেষ্টা সংস্থা নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। শনিবার অবশ্য এই ধরনের খবরকে খারিজ করে দিয়েছে আইআরসিটিসি।
শুক্রবারই সংস্থার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিভিন্ন মানুষ। এই দেশে এখনও পর্যন্ত ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন নেই। তা সত্ত্বেও রেলের মতো সরকারি সংস্থা যাত্রীদের দেওয়া যাবতীয় তথ্য কেন বিক্রি করতে চাইছে, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছিল। সংস্থার তরফে খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, যাত্রীদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলি জানতে পারলে পরিবহণ কিংবা পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি তাঁদের চাহিদা মোতাবেক পরিষেবা প্রদান করতে পারবে। কিন্তু রেলের সংস্থা আইআরসিটিসি যাত্রীদের ব্যক্তিগত তথ্য পেত কী ভাবে? দূরপাল্লার ট্রেনে সওয়ার হওয়া অধিকাংশ যাত্রীই এখন আইআরসিটিসির মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কেটে থাকেন। টিকিট কাটার সময় যাত্রীদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, পরিবারের সদস্যদের নাম-সহ যাবতীয় তথ্য সংস্থার পোর্টালে জমা হয় এবং তা দীর্ঘ দিন ধরে সংরক্ষিত থাকে।
শনিবার আইআরসিটিসি-র এক পদস্থ কর্তা একটি সংবাদ সংস্থাকে জানান, তথ্য বিক্রি সংক্রান্ত যে খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা ‘আজগুবি’ এবং ‘কল্পনাপ্রসূত’। সংস্থা যাত্রীদের কোনও তথ্য বিক্রি করছে না এবং তেমন কোনও পরিকল্পনাও সংস্থার নেই বলে দাবি করেছেন সেই কর্তা। সংস্থার সূত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, যাত্রীদের টাকা লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য তাদের তথ্যভান্ডারে থাকে না। এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক বা যাত্রীরা যে সংস্থার মাধ্যমে অনলাইনে টাকা দেন, তাদের কাছে থাকে বলে দাবি করেছে আইআরসিটিসি।
তবে উপদেষ্টা সংস্থা নিয়োগ করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে সংস্থা। তবে তাদের দাবি, যাত্রী এবং পণ্য পরিবহের নানা খুঁটিনাটি দিক খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করার উদ্দেশ্যে কোনও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্থাকে নিয়োগ করার জন্যই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এই সংস্থা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর কী ভাবে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণ বাবদ আরও বেশি আয় করা যায়, সে সম্পর্কে রেলকে প্রস্তাব এবং পরামর্শ দেবে। রেলের ব্যবসায়িক সম্প্রসারণই এই উদ্যোগের একমাত্র লক্ষ্য বলে দাবি করা হয়েছে।