পারস্য উপসাগরে ইরানি বাহিনীর হাতে আটক সেই জাহাজ। ছবি সংগৃহীত।
গত ১৩ এপ্রিল হরমুজ প্রণালীতে ইরানের বিশেষ বাহিনী ‘রেভোলিউশনারি গার্ডস অ্যারোস্পেস ফোর্স’-এর হাতে আটক হয়েছিল একটি জাহাজ। সেই জাহাজে ছিলেন ১৭ জন ভারতীয় নাবিক। তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা নাবিক দেশে ফিরলেও বাকিরা এত দিন আটক ছিলেন। অবশেষে তাঁরা মুক্তি পেতে চলেছেন। শুধু ভারতীয়েরা নন, আটক হওয়া অন্যান্য নাবিকেরা মুক্তি পাবেন শীঘ্রই।
ইরানের অর্থমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের জানিয়েছেন, মানবিক দিক থেকে বিচার করেই ওই জাহাজের সঙ্গে আটক করা নাবিকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মোট ২৫ জন নাবিককে আটক করা হয়েছিল। তার মধ্যে এক জন ভারতীয় মহিলা নাবিককেই দেশে পাঠানো হয়েছিল। বাকিদের মুক্তি নিয়ে টানা কূটনৈতিক আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনার পরেই আশার আলো মিলল। সূত্রের খবর, কিছু নথি সংক্রান্ত কাজকর্ম বাকি রয়েছে। সেগুলি মিটলেই সকলকে মুক্তি দেওয়া হবে।
ইরানের হাতে আটক জাহাজে ছিলেন ২৫ জন কর্মী। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন ভারতীয়। জাহাজটির পরিচালনা দায়িত্বে ছিল ইটালীয়-সুইস সংস্থা এমএসসি। তারা ইরান প্রশাসনের দ্বারা জাহাজটির আটকের বিষয়টি স্বীকার করে। সংস্থা জানায়, হেলিকপ্টারে চেপে ওই জাহাজে ওঠেন ইরানের প্রশাসনের আধিকারিকেরা। সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, জাহাজটি আদতে লন্ডনের জোডিয়াক গোষ্ঠীর। জোডিয়াক গ্রুপ হল ইজ়রায়েলি ধনকুবের ইয়াল অফারের। গত ১২ এপ্রিল দুবাই থেকে জাহাজটি মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। পরের দিনই হরমুজ় প্রণালীতে সেই জাহাজটি বাজেয়াপ্ত করে ইরানের বিশেষ বাহিনী। ১৭ জন ভারতীয়ের মধ্যে ত্রিশূরের অ্যান টেসা জোসেফকে আগেই ছেড়ে দিয়েছিল তেহরান। গত ১৮ এপ্রিল কোচিন বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি।
পশ্চিম এশিয়ায় চাপানউতর চলছে। হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েলের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে ইরানও। সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল ইজ়রায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে। ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যু হয় সাত জনের, যাঁদের মধ্যে ছিলেন ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই জেনারেল। তার পরেই ইজ়রায়েলে পাল্টা হামলা চালায় ইরান। অন্তত ৩০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। সেই উত্তেজনা এখনও বহাল রয়েছে।