চিনের চন্দ্র অভিযানের সঙ্গে চাঁদে পাড়ি পাকিস্তানেরও। ছবি: এক্স।
চাঁদের উদ্দেশে নতুন মহাকাশযান পাঠিয়েছে চিন। শুক্রবার হাইনান প্রদেশ থেকে লং মার্চ ৫ রকেটে চ্যাং-৬-এর উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। চিনের এই অভিযানের কাঁধে ভর করে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল ভারতের আর এক পড়শি পাকিস্তানও। চাঁদে প্রথম চন্দ্র-উপগ্রহ পাঠাল তারা। চিনের অভিযানের সঙ্গেই সেই উপগ্রহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তান চাঁদের দিকে যে কৃত্রিম উপগ্রহটি পাঠিয়েছে, তার নাম আইকিউব কামার। এর আগে মহাকাশে পাকিস্তান বহু কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠালেও চাঁদের উদ্দেশে কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে পারেনি তারা। চিনের অভিযানের সঙ্গে এই প্রথম সেই বিশেষ ক্ষেত্রে খাতা খুলল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অফ স্পেস টেকনোলজি (আইএসটি) দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সুপারকো এবং চিনের সংহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি তৈরি করেছে। এই উপগ্রহের প্রাথমিক লক্ষ্য চাঁদকেন্দ্রিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা, প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং মহাকাশ সংক্রান্ত অনুসন্ধানে দেশের বিভিন্ন শিক্ষামূলক উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করা।
আইএসটির কোর কমিটির অন্যতম সদস্য খুররম খুরশিদ জিয়ো টিভিকে জানিয়েছেন, পাঁচ দিনের মধ্যে চিনের অভিযানের সঙ্গে যাওয়া পাকিস্তানের আইকিউব কামার চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে। তিন থেকে ছ’মাস পর্যন্ত সেখানেই থাকবে স্যাটেলাইটটি। চাঁদকে প্রদক্ষিণ করতে করতে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে। যা পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণার কাজে লাগবে।
পাকিস্তান এর আগে চাঁদের কাছাকাছি কোনও স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠায়নি। ফলে তাদের কাছে চাঁদের নিজস্ব কোনও ছবি নেই। এই অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান চাঁদের নিজস্ব কিছু ছবি পাবে। যা তারা চাঁদ সংক্রান্ত গবেষণায় কাজে লাগাতে পারবে।
চাঁদের কক্ষপথে পাকিস্তানের স্যাটেলাইটটিকে নামিয়ে দিয়ে চিনের চ্যাং-৬ চলে যাবে আরও দূরে। তার লক্ষ্য চাঁদের দূরের প্রান্তে (যে অংশ পৃথিবী থেকে দেখা যায় না) পৌঁছনো। সেখানে নেমে চ্যাং-৬ চাঁদের মাটি এবং পাথর সংগ্রহ করে আনবে পৃথিবীতে। এই ধরনের চন্দ্র অভিযান গোটা বিশ্বে এই প্রথম। চিনের অভিযানের সঙ্গে শুধু পাকিস্তান নয়, একাধিক দেশের পেলোড চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। ফ্রান্স, ইটালি এবং সুইডেনের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিও চাঁদে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে চ্যাং-৬।