IAS vs IPS

আইপিএস রূপা বনাম আইএএস রোহিণী! দুই অফিসারের প্রকাশ্য তরজা, অস্বস্তিতে কর্নাটক সরকার

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দুই প্রবীণ আমলার নাম ডি রূপা এবং রোহিণী সিন্ধুরি। এঁদের মধ্যে রূপা আইপিএস অফিসার এবং তিনি কর্ণাটকের হস্তশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:১৪
Share:

আইপিএস অফিসার ডি রূপা এবং আইএএস অফিসার রোহিণী সিন্ধুরি। ছবি: সংগৃহীত।

এক জন আইপিএস অফিসার। অন্য জন আইএএস। রবিবার সমাজমাধ্যমে একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়িতে নেমেছিলেন রাজ্যের এই দুই উচ্চপদস্থ মহিলা আধিকারিক। অবশেষে তাঁদের থামাতে ময়দানে নামতে হল খোদ কর্নাটক সরকারকে।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দুই সরকারি কর্মকর্তার নাম ডি রূপা এবং রোহিণী সিন্ধুরি। এদের মধ্যে রূপা আইপিএস অফিসার এবং তিনি কর্ণাটক রাজ্য হস্তশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। আইএএস অফিসার রোহিণীর বিরুদ্ধে রূপার অভিযোগ, রোহিণী নিজের একটি ছবি বেশ কয়েক জন পুরুষ আইএএস অফিসারকে পাঠিয়েছিলেন। রোহিণীর এই ছবি অনেকের সঙ্গে শেয়ার করা নিয়ম বহির্ভূত বলেও রূপা উল্লেখ করেন।

ফেসবুকে রূপা লেখেন, “এই ছবিগুলি স্বাভাবিক মনে হতে পারে। কিন্তু এক জন মহিলা আইএএস অফিসার যদি অন্য আইএএস অফিসারকে এই ধরনের ছবি পাঠাযন, তা হলে তার অর্থ কী দাঁড়ায়? এটি আর ব্যক্তিগত বিষয় থাকে না। এটি নিয়ম বিরুদ্ধ। সেলুনের ছবি পাঠানো বা ঘুমানোর ছবি পাঠানো স্বাভাবিক মনে হতে পারে, কিন্তু যে পরিস্থিতিতে এই ছবিগুলি পাঠানো হয়েছিল, তা অন্য কথা বলে।”

Advertisement

তবে রূপার এই অভিযোগ মোটেও ভাল চোখে নেননি রোহিণী। রোহিণীর দাবি, রূপার অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন এবং তাঁর বদনাম করার জন্য এই ছবিগুলি ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁর প্রতি রূপার ‘ব্যক্তিগত ঘৃণা’র কারণেই মিথ্যা অভিযোগগুলি আনা হয়েছে বলে দাবি রোহিণীর। রূপার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও তিনি হুমকি দিয়েছেন।

রোহিণী ফেসবুকে রূপার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে লেখেন, ‘‘রূপা সবসময় সংবাদমাধ্যমের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেন এবং ওঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। এই মুহূর্তে আমার মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চলছে।’’

পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র উভয় দুই অফিসারের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তাঁর কথায়, “ওঁদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। আমি ইতিমধ্যে ডিজির সঙ্গে কথা বলেছি এবং মুখ্যমন্ত্রীও এই বিষয়ে ভাবছেন। সব কিছুর একটা সীমা আছে। ওঁদের আগেও সতর্ক করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement