বাঘ দিবস: কাজিরাঙার রয়্যাল বেঙ্গল। ছবি কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের সৌজন্যে।
চারটি সোনালী বাঘের সন্ধান, তার পর রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা বৃদ্ধি। ব্যাঘ্র দিবস উদযাপনে আজ তাই খুশির আবহ ছিল কাজিরাঙায়। ব্যাঘ্র দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক ২০১৮-১৯ সালের যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে কাজিরাঙা ও আশপাশ মিলিয়ে বাঘের সংখ্যা ১৩৫। তার মধ্যে ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকার ভিতরে ১০৪টি বাঘ ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা এলাকা ও উত্তর-পূর্বের পার্বত্য এলাকায় গত ১২ বছরে রয়্যাল বেঙ্গলের সংখ্যা বাড়ল ১১৯টি। ২০০৬ সালে ব্রহ্মপুত্রের সমতল ও লাগোয়া পার্বত্য এলাকায় বাঘের সংখ্যা ছিল ১০০টি। ২০১৮-১৯ সালের গণনায় ২১৯। সংখ্যাটি সর্বাধিক ২৪৪-ও হতে পারে।
শুধু অসমে ২০১৪ সালে ১৬৭টি বাঘ মিলেছিল। ২০১৮ সালের গণনায় মেলে ১৯০টি। সর্বাধিক সংখ্যা পৌঁছতে পারে ২১৫-এ। অসমের ওরাঙ রাজীব গাঁধী জাতীয় উদ্যানে ২১টি ও মানস জাতীয় উদ্যানে ৩১টি বাঘের দেখা মিলেছে। অবশ্য সমতলে বাঘেদের সংসার সুখের হলেও নামেরি, পাক্কের মতো পাহাড়ি এলাকায় সংখ্যা তেমন বাড়েনি। একই সঙ্গে মিজোরামের ডাম্পা ব্যাঘ্র প্রকল্প একেবারেই বাঘ-শূন্য হয়ে গিয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্রে চর-চাপোরিতে জবরদখল, বসতি স্থাপন, ব্রহ্মপুত্রের অপর পারে নামেরি-পাক্কে এলাকায় গবাদি পালন ও বসতি স্থাপন, কার্বি আংলংয়ের অরণ্য ধ্বংস ও সংরক্ষণের অভাব, কাজিরাঙা-কার্বি আংলংয়ে অরণ্য লাগোয়া পাথর খাদান ও স্টোন চিপসের কারখানা, জঙ্গল ভেদ করে যাওয়া সড়কের কারণে বাঘের সংখ্যা ও চারণভূমি কমছে।