Tripura

Tripura: ত্রিপুরায় সংঘর্ষে জখম জঙ্গির মৃত্যু ‘ও-পারে’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২১ ০৬:৫৩
Share:

প্রতীকী চিত্র।

ভোটের বছর দেড়েক বাকি। তার আগে ত্রিপুরায় ফের জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাওয়া নিয়ে গোয়েন্দারা উদ্বেগে। গোয়েন্দা সূত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে মূলত তিনটি বিষয়ে: এক, জঙ্গিদের সীমান্তের ও-পারে আশ্রয় নেওয়ার খবর। দুই, স্বাধীনতা দিবসের মুখে জঙ্গিদের ফের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা। বিএএসএফ জওয়ানদের হত্যা ও অস্ত্র লুটের মতো ঘটনা। তিন, আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের ভূমিকা এবং তাদের ফের জঙ্গি দলে ফেরার জন্য টোপ দেওয়া।

Advertisement

ত্রিপুরায় ধলাই জেলার ছামনু থানা এলাকায় সীমান্তে পাহারা দেওয়ার সময় এনএলএফটি জঙ্গিদের আক্রমণে দুই বিএসএফ জওয়া নিহত হন। তাঁদের অস্ত্র লুট করে পালায় জঙ্গিরা। গত ৩ অগস্টের ওই ঘটনায় জঙ্গিদেরও দু’জন জখম হয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, তাদের বাংলাদেশে খাগড়াছড়ি এলাকার কচুয়াতলির শিবিরে নিয়ে গিয়েছিল সঙ্গীরা। গোয়েন্দাদের দাবি, সেখানে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। নাম ভিকি দেববর্মা (২২)। খাগড়াছড়ি জেলার মাচালং বাজার এলাকার দোকান থেকে প্রায় ১৭ হাজার টাকার ওষুধ কেনা হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ভিকির মৃত্যু হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। তার বাড়ি ছিল ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলায়। জখম আর এক জঙ্গির নাম লেবাজয় রিয়াং(১৯)। সে ত্রিপুরা উত্তর জেলার বাসিন্দা।

গোয়েন্দাদের মতে, সীমান্তের ও-পারে কচুয়াতলির শিবিরে ৩৫-৪০ জন জঙ্গি রয়েছে। এ পারে ধলাই জেলার একটি পাহাড়েও রয়েছে প্রায় ১০-১২ জন। মনে করা হচ্ছে, এদের সবার কাছে একে সিরিজের অস্ত্র রয়েছে। সামনেই স্বাধীনতা দিবস। এই দিনটিকে সন্ত্রাসবাদীরা কালো দিবস হিসেবে পালন করে। এত দিন পরে হঠাৎ করে বিএসএফ-এর উপরে আক্রমণ, অস্ত্র লুটের ঘটনায় স্পষ্ট, এলাকায় জঙ্গিরা আবার শক্তি বাড়াতে তৎপর হয়ে উঠেছে।

Advertisement

সম্প্রতি রাজ্যের সমস্ত আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদর ফের জঙ্গলে ফেরার ডাক দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিরা এমন প্রলোভনও দেখাচ্ছে যে, তাদের হয়ে কাজ করলে বা পুনরায় অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বড় ধরনের হত্যাকাণ্ড বা নিরাপত্তাবাহিনীর উপরে আক্রমণ চালানোর পরে আত্মসমর্পণ করলে বড় ধরনের আর্থিক প্যাকেজ দেবে সরকার। তাদের আর আর্থিক সঙ্কট থাকবে না।

রাজ্যের এক গোয়েন্দা আধিকারিকের মতে, শহরে থেকে নিরাপত্তাবাহিনীর সমস্ত খরাখবর জঙ্গি দলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সহজে। তার জন্যও বেশ কয়েক জন জঙ্গি সম্প্রতি আত্মসমর্পণ করেছে। গোমতী জেলার পুলিশের একটি অস্ত্র সম্প্রতি খোয়া গিয়েছে। এর পেছনেও আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের যোগাযোগ রয়েছে বলে তাঁর দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement