বি আর অম্বেডকর এবং জ্যোতিরাও ফুলে নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের জেরে মহারাষ্ট্রের বিজেপি মন্ত্রী চন্দ্রকান্ত পাটিলের মুখে কালি ছেটানোর অভিযোগ উঠল পুণেতে।
শুক্রবার ঔরঙ্গাবাদে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রকান্ত। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, “অম্বেডকর এবং ফুলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলির ক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতার জন্য অপেক্ষা করেননি। স্কুল, কলেজ খোলার জন্য জনগণের সহযোগিতায় তহবিল গড়েছিলেন।” এ কথা বলতে গিয়ে চন্দ্রকান্ত ইংরেজিতে ‘বেগ্ড’ শব্দটি ব্যবহার করেন। এই শব্দটি নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত।
শনিবার পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। তাঁর এই মন্তব্যের জন্য সেখানে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। অনুষ্ঠান থেকে বেরোনোর সময় ভিড়ের মধ্যে থেকে হঠাৎই এক ব্যক্তি চন্দ্রকান্তের সামনে এসে মুখে এবং জামায় কালি ছিটিয়ে দেন বলে অভিযোগ। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
আচমকা এই ঘটনায় দলীয় কর্মী, সমর্থক এবং উদ্যোক্তারা অপ্রস্তুতে পড়লেও, মন্ত্রী কিন্তু মোটেও বিরক্ত হননি। বরং নিজের মন্তব্যের সমর্থনেই দাঁড়িয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, “আমি তো অম্বেডকর, জ্যোতিরাও ফুলেকে কোনও অপমান করিনি। তাঁদের সমালোচনাও করিনি। শুধু বলেছিলাম, ওঁরা সরকারি সহযোগিতার জন্য অপেক্ষা না করে জনগণের সহযোগিতায় স্কুল, কলেজ চালু করেছিলেন।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “কেউ যদি আদালতে গিয়ে বলেন, ‘আই বেগ ফর জাস্টিস’, তা হলে সেই ‘বেগ’ শব্দটি কি ভিক্ষা করার সঙ্গে তুলনা করা হবে? ভুল ব্যাখ্যা করা হবে?” তাঁর এই ‘বেগ’ শব্দটির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে দাবি মন্ত্রীর। তবে কালি ছিটিয়ে কোনও লাভ হবে না বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, “কালি ছেটালে ওই পোশাক খুলে ফেলা যাবে।”
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস চন্দ্রকান্তের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তাঁর দাবি, মন্ত্রীর মন্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার জন্য পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ের তিন আধিকারিক-সহ সাত পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।