নরেন্দ্র মোদী (বাঁ দিকে) এবং নারায়ণমূর্তি। —ফাইল চিত্র।
সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ নিয়ে এ বার ইনফোসিস কর্তা নারায়ণমূর্তির পাশে দাঁড়ালেন আর এক শিল্পপতি সজ্জন জিন্দল। নারায়ণমূর্তিকে সমর্থন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন জিন্দল।
সম্প্রতি দেশে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে তরুণদের সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা করে কাজ করার কথা বলেছিলেন নারায়ণমূর্তি। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়। নেটাগরিকদের একাংশ প্রবীণ এই শিল্পপতির সমালোচনায় মুখর হন। এই বিতর্কের রেশ থামার আগেই তাতে নয়া উপাদান যোগ করলেন জিন্দল। জিন্দল এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে জানান, ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে সপ্তাহে পাঁচ দিনের কাজের সংস্কৃতি কখনও যথেষ্ট হতে পারে না।
সজ্জন জিন্দল। —ফাইল চিত্র।
তার পরই জিন্দল স্টিল ওয়ার্কস শিল্প সংস্থার প্রধান জিন্দল মোদীর উদাহরণ টেনে বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রতি দিন ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করেন। আমার বাবা সপ্তাহে সাত দিনই ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করতেন। আমি নিজেও প্রতি দিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করি।” জিন্দল এ-ও জানান যে, বিশ্বের উন্নত দেশগুলির তুলনায় ভারতের পরিস্থিতি অনেক বেশি প্রতিকূল। তাঁর কথায়, “উন্নত দেশগুলিতে সবাই সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা কাজ করেন। কারণ তাঁদের আগের প্রজন্ম দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছে। আমরা আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে কাজের পরিমাণ কমাতে পারি না।”
আরও একটি টুইটে জিন্দল লেখেন, “ভারতের সব চেয়ে বড় শক্তি আমাদের যুব সমাজ। সুপার পাওয়ার হতে গেলে তরুণ প্রজন্মকে বিশ্রামের চেয়ে কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমরা উন্নতি করতে পারলে, আরাম করার সুযোগ মিলবে।”
সম্প্রতি সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের পক্ষে সওয়াল করে নারায়ণমূর্তি বলেছিলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি এবং জাপানের মানুষেরা দেশের উন্নতি করতে অতিরিক্ত সময় কাজ করেছিলেন। ভারতের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য তরুণ প্রজন্মের আরও কঠিন পরিশ্রম করা উচিত।” নারায়ণমূর্তির এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা হয়। কেউ কেউ তাঁকে উপদেশ দেওয়ার ভঙ্গিতে জানান, বেশি সময় কাজ করলেও উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় না।