(বাঁ দিকে) দীপিকা পাড়ুকোন। রণবীর কপূর (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
২০০৭ সালে বলিউডে পা রেখেই কপূর পরিবারের মতো এক ফিল্মি পরিবারের তারকাসন্তানের প্রেমে পড়েন দীপিকা পাড়ুকোন। সেই তারকাসন্তানের নাম রণবীর কপূর। ‘বাঁচনা অ্যায় হাসিনো’ ছবির সেটে একসঙ্গে কাজ করাকালীন প্রেমের সূত্রপাত হয়েছিল দীপিকা ও রণবীরের মধ্যে। সেই সম্পর্কের আয়ু খুব বেশি দিন না হলেও তা নিয়ে বলিপাড়ায় চর্চা কম হয়নি। এমনকি, রণবীরের প্রেমে এতটাই মজেছিলেন দীপিকা যে, তাঁর নামের আদ্যক্ষর নিজের ঘাড়ে ট্যাটু পর্যন্ত করিয়ে ফেলেছিলেন নায়িকা। এত কাঠখড় পুড়িয়েও সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত পরিণতি পায়নি। মাত্র বছর দুয়েকের মাথায় বিচ্ছেদ হয়ে যায় রণবীর ও দীপিকার। দীপিকাকে কম ভালবাসতেন না রণবীর। তবে তাঁর এক স্বভাবের জন্যই নাকি বিরক্ত হতেন ঋষি-পুত্র।
রণবীরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে কর্ণ জোহরের টক শো ‘কফি উইথ কর্ণ’-এর কফি আড্ডায় এসেছিলেন দীপিকা। সঙ্গে ছিলেন সোনম কপূর। শোনা যায়, ‘সওয়ারিয়া’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার সময় ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল রণবীর ও সোনমের মধ্যে। তবে সেই সম্পর্কও স্বল্পায়ু। কফি কাউচে বসে রণবীরের বিষয়ে জমিয়ে সমালোচনা করেছিলেন সোনম ও দীপিকা। ওই অনুষ্ঠানেই দীপিকা মন্তব্য করে বসেন যে, রণবীরের নাকি কন্ডোমের সংস্থার হয়ে বিজ্ঞাপন করা উচিত। দীপিকার কথায় সায় দেন সোনমও। পরে ‘কফি উইথ কর্ণ’-এর ওই পর্ব সম্প্রচার হলে দীপিকার ওই মন্তব্যে কিছুটা অবাক হয়েছিলেন রণবীর। অন্য এক অনুষ্ঠানে এসে রণবীর বলেন, ‘‘যে দিন ওই পর্ব শুট করা হচ্ছিল, আমি কাছেই শুটিং করছিলাম। দীপিকা ও সোনম শুট সেরে আমার ট্রেলারেও এসেছিলেন কথা বলতে। আমরা বসে গল্পও করেছি সে দিন। তার পরে আমি ওই পর্ব দেখি। অবাক হয়েছিলাম। দীপিকার আমার উপর রাগ থাকলে ও আমাকেই সরাসরি বলতে পারত।’’
এখানেই থামেননি রণবীর। তিনি আরও বলেন, ‘‘দীপিকার সঙ্গে আমার খুব সুন্দর একটা সম্পর্ক ছিল। আমি এখনও ওকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। তবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে জনসমক্ষে কথা না বলাই ভাল বলে আমি মনে করি।’’ রণবীরের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, দীপিকার দ্বিচারিতায় বেশ বিরক্তই হয়েছিলেন তিনি। যদিও এখন কোনও তিক্ততা নেই প্রাক্তন যুগলের মধ্যে। বিচ্ছেদের পরেও খুব ভাল বন্ধু তাঁরা। এমনকি, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’, ‘তামাশা’ ছবিতে জুটি বেঁধে কাজও করেছেন দীপিকা ও রণবীর।