ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। ছবি- পিটিআই
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম গ্রেফতার হওয়ায় খুশি ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়।
মুম্বইয়ের একটি আদালতের বাইরে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের আজ ইন্দ্রাণী বলেন, ‘‘খুব ভাল হয়েছে, চিদম্বরম গ্রেফতার হয়েছেন।’’ এ দিকে, দিল্লিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, চিদম্বরমকে ইডি গ্রেফতার করতে পারবে কি না, সে ব্যাপারে ৫ সেপ্টেম্বর তারা ফয়সালা শোনাবে। এ দিন বিচারপতি আর ভানুমতী ও বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চ
ইডির গ্রেফতারি থেকে চিদম্বরমকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সুরক্ষা দিয়েছে। বর্তমানে সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা চিদম্বরম তাঁর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যে আর্জি জানিয়েছিলেন, তা নিয়ে সোমবার শুনানি হবে। হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আগামিকাল চিদম্বরমকে কোর্টে পেশ করবে সিবিআই।
আইএনএক্স মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে সিবিআই ও ইডি। ইন্দ্রাণী ও তাঁর স্বামী পিটার দু’জনেই ইন্দ্রাণীর মেয়ে শিনা বরার হত্যা মামলায় জেলে রয়েছেন। আইএনএক্স মিডিয়াকে বিদেশি লগ্নির ছাড়পত্র দিতে গিয়ে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম তাঁর পুত্র কার্তিকে অর্থ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন বলে অভিযোগ এনেছেন ইন্দ্রাণী। এই মামলায় তিনি রাজসাক্ষী হয়েছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তকারী সংস্থা প্রথমে কার্তি এবং পরে চিদম্বরমকে গ্রেফতার করে।
চিদম্বরম অবশ্য অভিযোগ খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টে জানান, তাঁকে হেনস্থা করতেই সিবিআই ও ইডি দুর্নীতির মিথ্যে অভিযোগ এনেছে। যদিও ইডির দাবি, চিদম্বরমের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। শীর্ষ আদালতে ইডির আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আজ চিদম্বরমের বিরুদ্ধে কিছু নথি একটি মুখবন্ধ খামে বিচারপতিদের হাতে তুলে দেন। ইডির অভিযোগ, চিদম্বরম বহু বছর ধরে দুর্নীতির প্রক্রিয়া চালিয়ে গিয়েছেন ও সম্পত্তি করেছেন। এর পরেও তারা কেন চিদম্বরমকে গ্রেফতার করতে পারবে না, সেই প্রশ্ন তোলেন ইডির আইনজীবী। আইএনএক্স দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা চিদম্বরমকে কব্জায় পেতে চাইছে ইডি-ও। এ দিন সুপ্রিম কোর্টে অভিযুক্তের আইনজীবী কপিল সিব্বল যুক্তি দেন, চিদম্বরমের ব্যাঙ্ক ও অন্য কিছু নথি তাদের হাতে রয়েছে বলে ইডি দাবি করছে ঠিকই, কিন্তু যত ক্ষণ না পর্যন্ত আদালত সেগুলির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত না হচ্ছে, সেই কাগজপত্র কেস ডায়েরির অংশ হতে পারে না।