প্রতীকী ছবি।
আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর জেরে ব্যাহত হচ্ছে বিমান পরিষেবা। মুম্বইগামী বহু বিমান হয় বাতিল করা হয়েছে, অথবা সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। মুম্বই বা পশ্চিম উপকূল সংলগ্ন কোনও বিমানবন্দর থেকে বিমান ছাড়তেও সমস্যা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার গুজরাতের কচ্ছ উপকূলের কাছে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ঘূর্ণিঝড়ের।
ইন্ডিগোর একটি বিমান মঙ্গলবার মুম্বইয়ের বদলে উদয়পুরে গিয়ে নামে। লখনউ থেকে বিমানটি যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু মুম্বইয়ে খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি নামাতে ব্যর্থ হন পাইলট। উদয়পুরে বিমানটি নামানোর পর সেখানে যাত্রীদের দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয় বলে অভিযোগ। ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে যাত্রীরা দুর্বল ব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন। সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।
লখনউ বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার সকাল ১১.১০ নাগাদ ইন্ডিগোর ৬ই ২৪৪১ বিমানটি মুম্বইয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। দুপুর ১.১৫ নাগাদ মুম্বইয়ে নামার কথা ছিল বিমানটির। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমান নির্দিষ্ট গন্তব্যে নামাতে পারেননি পাইলট। তিনি মুম্বইয়ে নামার আগে কয়েক বার আকাশে চক্কর কাটেন। তার পর উদয়পুরে বিমান ঘুরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, উদয়পুরেও নামার আগে আকাশে এক বার চক্কর কাটেন পাইলট। ওই পাইলটের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যাত্রীদের একাংশ। তাঁদের বিক্ষোভের জেরে ৬ই ২৪৪১ বিমানটির পাইলট বদলাতে বাধ্য হয় ইন্ডিগো। নতুন পাইলট বিমানটিকে নিরাপদে মুম্বইতে নামিয়েছেন ওই দিন রাত ৮টা নাগাদ।
যাত্রীদের অভিযোগ, বিমানটি উদয়পুরে নামার পর দীর্ঘ ক্ষণ তাঁদের বিমানবন্দরে অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। কখন আবার বিমান উড়বে, সেই সংক্রান্ত তথ্য দিতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। অনিশ্চয়তার মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটান যাত্রীরা। পরিস্থিতির বিবরণ দিয়ে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দেন সমাজমাধ্যমে। পাইলট পরিবর্তনের দাবিও জানান।
এর আগে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মুম্বইয়ে খারাপ আবহাওয়ার কারণে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান পাকিস্তানের আকাশে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়। বেশ কিছু ক্ষণ পাকিস্তানের আকাশে ওড়ার পর বিমানটিকে আবার ফিরিয়ে আনা হয়। তখনও মাঝ আকাশে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল যাত্রীদের মধ্যে। বিমান পরিষেবায় বিঘ্ন এবং যাত্রীদের অস্বস্তির জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে বিমান সংস্থাগুলি।