Cyclone Biparjoy

‘বিপর্যয়’ মোকাবিলায় আট রাজ্যে কড়া সতর্কতা জারি, তৈরি হয়েছে বহু ত্রাণশিবিরও

বৃহস্পতিবারের মধ্যে গুজরাতের পশ্চিম উপকূল এবং তার পার্শ্ববর্তী উপকূলবর্তী রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মৌসম ভবন সূত্রে খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩ ১১:৩৩
Share:

‘বিপর্যয়’-এর প্রভাবে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের পরিস্থিতি। ছবি: পিটিআই।

দেশবাসী যখন বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছেন, তখন আরব সাগরের বুকে দানা বেঁধেছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। বাংলাদেশের নাম দেওয়া ‘বিপর্যয়’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছিল বলে জানিয়েছেন জাতীয় আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ভারতের উপকূলবর্তী এলাকায়। বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা গুজরাতের পশ্চিম উপকূল এবং তার পার্শ্ববর্তী উপকূলবর্তী রাজ্যে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মৌসম ভবন সূত্রে খবর। গুজরাতের কচ্ছ এবং সৌরাষ্ট্রে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

Advertisement

জখৌ বন্দরের উপর দিয়ে যেতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। গুজরাতের পাশাপাশি, বিভিন্ন জায়গায় কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং লক্ষদ্বীপে সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। শুক্রবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।

ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। উপকূলবর্তী সমস্ত বন্দরও বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে পৌঁছে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। আমদাবাদ, ভাবনগর, রাজকোট, গান্ধীধামে খোলা হয়েছে একাধিক কন্ট্রোল রুম। সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ উপকূলেও কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ৩০ হাজার বাসিন্দাকে মঙ্গলবার অস্থায়ী ত্রাণশিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

Advertisement

‘বিপর্যয়’-এর মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফে কী রকম প্রস্তুতি রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে সোমবার বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন। ‘বিপর্যয়’ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে কেন্দ্র, সেই আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement