ছবি: সংগৃহীত।
প্রতিবন্ধী এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যাত্রীদের পরিষেবায় নিজেদের আদর্শ আচরণবিধিতে বদল আনল ইন্ডিগো। এ কথা জানিয়েছেন ইন্ডিগোর সিইও রণজয় দত্ত। প্রতিবন্ধী এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যাত্রীদের সমস্যা হলে তাঁদের পরিষেবায় বিমানবন্দরেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার পরই কি হুঁশ ফিরল ইন্ডিগোর? উঠছে প্রশ্ন।
রাঁচীর বিমানবন্দর থেকে এক প্রতিবন্ধী শিশুকে বিমানে উঠতে বাধা দেওয়ায় গত সপ্তাহে ইন্ডিগো-কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে দেশীয় আকাশে বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। সংবাদ সংস্থার কাছে একটি সাক্ষাৎকারে ইন্ডিগোর সিইও রণজয় জানিয়েছেন, ডিজিসিএ-র এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন না তাঁরা। তাঁর কথায়, ‘‘অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন, ‘আপনি কি ডিসিসিএ-র বিরুদ্ধে আবেদন করবেন?’ অবশ্যই তেমন করব না!’’ যদিও এই ঘটনাকে খতিয়ে দেখে পরিষেবা উন্নত করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
৭ মে রাঁচী থেকে হায়দরাবাদগামী উড়ানে এক প্রতিবন্ধী নাবালককে বিমানে উঠতে বাধা দেওয়া হয় বলে ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে অভিযোগ। ইন্ডিগোর দাবি ছিল, বিমানে উঠার আগেই ‘আতঙ্কিত’ ওই নাবালকের জন্য উড়ান চলাকালীন পরিস্থিতি জটিল হতে পারত। তাই ওই নাবালককে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরই ডিজিসিএ-র কোপের মুখে পড়ে ইন্ডিগো।
ঘটনাচক্রে, এর পরই প্রতিবন্ধী এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যাত্রীদের পরিষেবায় নিজেদের আরও উন্নত করার দিকে জোর দিয়েছেন রণজয়। খানিকটা আত্মসমীক্ষার ধাঁচেই রণজয় বলেন, ‘‘ওই ঘটনাকে আমরা একটি কেস স্টাডি হিসাবে খতিয়ে দেখব। ওই ধরনের পরিস্থিতিতে আর কী করা যেত, তা-ও বোঝার চেষ্টা করা হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি সামলাতে বিমানবন্দরেই এক জন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হবে। এবং এ বিষয়টি আমাদের কর্মীদের আদর্শ আচরণবিধিতেও ঢোকানো হয়েছে।’’
এ ধরনের ঘটনার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিমানকর্মীদের ট্রেনিংও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইন্ডিগো।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।