ফাইল ছবি।
বিমান চালক ও কেবিন ক্রু-দের পর এ বার বিমানের রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত প্রযুক্তিবিদদের (এএমটি) নিয়ে সমস্যায় যাত্রী পরিবহণের বিচারে দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগো। সূত্রের খবর, বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ নিয়ে অসন্তুষ্ট এএমটি-রা গণছুটিতে যাওয়ায় হায়দরাবাদ ও দিল্লি থেকে ইন্ডিগোর বিমান চলাচলে তার প্রভাব পড়েছে। একাধিক উড়ান বিলম্বে ছেড়েছে, বাতিল করতে হয়েছে বেশ কিছু। যদিও এখনও সরকারি ভাবে প্রতিক্রিয়া দেয়নি ইন্ডিগো।
গত কয়েক মাস ধরেই ইন্ডিগোয় বিমান চালক ও বিমানকর্মীদের অসন্তোষ বাড়ছিল। তাঁদের মূল অভিযোগ, করোনা অতিমারির সময় বেতন কমানো হয়েছিল। কিন্তু অতিমারি পেরিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও অতিমারির সময়ের বেতনই তাঁদের দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে এপ্রিলে কয়েক জন বিমান চালক গণছুটিতে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলে ইন্ডিগো তাঁদের বরখাস্ত করে। তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়। এর পর গত ২ জুলাই সংস্থার অধিকাংশ কেবিন ক্রু এক সঙ্গে ছুটি নিয়ে টাটা গোষ্ঠীর হাতে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ায় পরীক্ষা দিতে চলে যান। এর ফলে সে দিন ইন্ডিগোর ৫৫ শতাংশ বিমান বিলম্বে ছাড়ে বা বাতিল করতে হয়। যা ডিজিসিএ-এর নজর এড়ায়নি।
এ দিকে ভারতের বিমান পরিবহণ শিল্পে ইদানীং চাকরির সুযোগ বাড়ছে। ‘এয়ার ইন্ডিয়া’ যেমন নতুন করে লোক নিচ্ছে, তেমনই নতুন বিমান সংস্থা ‘আকসারা’-ও বিপুল নিয়োগ করছে। ফলে সাঁড়াশি চাপে পড়েছে বিমান সংস্থা ইন্ডিগো। এই পরিস্থিতিতে বিমান চালকদের বেতন অতিমারি পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইন্ডিগো। সূত্রের খবর, অতিমারির কারণ দেখিয়ে ইন্ডিগো বেতন ২৮ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছিল। সম্প্রতি ৮ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছে। তার আগে আরও এক দফা বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু এখনও কোভিড পূর্ব সময়ের থেকে কর্মীরা ১৬ শতাংশ কম বেতন পাচ্ছেন বলে খবর।