Greenhouse Gas Emissions

১৪ বছরে ভারতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমেছে ৩৩ শতাংশ, বলছে রিপোর্ট

২০১৬ থেকে ২০১৯ সালে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল ৩ শতাংশ। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে এই পরিমাণ ছিল ১.৫ শতাংশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৩ ২১:৩৬
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

যা আশা করা হয়েছিল, তার থেকে অনেক দ্রুত হারে ভারতে কার্বন নিঃসরণ কমেছে। গত ১৪ বছরে ৩৩ শতাংশ কমেছে কার্বন নিঃসরণ। পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং অরণ্যের প্রসারের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের কনভেনশন অফ ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি)-এ একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্র। সেখানেই এই কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

ইউএনএফসিসিসিতে বহু দেশ তাদের রিপোর্ট জমা করেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ভারতে ২০০৫ সাল থেকে ২০১৯ সালে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমেছে ৩৩ শতাংশ। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল ৩ শতাংশ। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে এই পরিমাণ ছিল ১.৫ শতাংশ। এর আগে এত দ্রুত কার্বন নিঃসরণ এ ভাবে নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এর নেপথ্যে রয়েছে সরকারি নীতি। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার না কমলেও সরকার পুনর্ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় সরকারের এক কর্মী জানিয়েছেন, ভারত অর্থনৈতিক উন্নয়নের থেকে কার্বন নিঃসরণের বিষয়টি আলাদা করে দেখিয়ে দিয়েছে। উন্নত দেশ মানেই প্রচুর কার্বন নিঃসরণ হবে, এমনটা নয়, বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত। আর এই কার্বন নিঃসরণ কমার অন্যতম কারণ বনভূমির প্রসার। ২০১৯ সালে ভারতের ২৪.৫৬ শতাংশ এলাকা বনভূমিতে ঢাকা ছিল। অর্থাৎ ভারতের প্রায় ৮.০৭৩ কোটি হেক্টর জমি সবুজে ঢাকা। তা ছাড়া গ্রিন হাইড্রোজেনের উপরও জোর দিয়েছে সরকার। জলের অণু বিয়োজন করে এই শক্তি উৎপাদন করা হচ্ছে। সে সব কারণেও কমেছে কার্বন নিঃসরণ।

Advertisement

এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই রিপোর্টে এখনও অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকও এই রিপোর্টের বিষয়ে মুখ খোলেনি। গত মাসে জি ২০-র অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি বৈঠকে বসেছিল। সেখানে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে সহমত হতে পারেনি দেশগুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement