Durga pujo

বিজয়া দশমীতে কেন ‘বিশেষ’ হয়ে ওঠে গ্রামবাংলার এই মেঠো পাখি

পোশাকি নাম ‘ইন্ডিয়ান রোলার’। বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘কোরাসিয়াস বেনঘালেনসিস’। আদরের নাম নীলকণ্ঠ পাখি। দুর্গাপুজোর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক এই পাখির। প্রচলিত বিশ্বাস, বিজয়া দশমীতে এই পাখি দেখতে পাওয়া খুবই শুভ।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৯ ১০:২২
Share:
০১ ১২

পোশাকি নাম ‘ইন্ডিয়ান রোলার’। বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘কোরাসিয়াস বেনঘালেনসিস’। আদরের নাম নীলকণ্ঠ পাখি। দুর্গাপুজোর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক এই পাখির। প্রচলিত বিশ্বাস, বিজয়া দশমীতে এই পাখি দেখতে পাওয়া খুবই শুভ। ( সোশ্যাল মিডিয়া)

০২ ১২

বলা হয়, রাবণবধের আগে এই পাখির দর্শন পেয়েছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। আবার অনেকের মতে, নীলকণ্ঠ পাখি পথ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল রামচন্দ্র ও তাঁর বাহিনীকে। তাই তার দর্শন পাওয়া শুভ বলে ধরা হয়। ( সোশ্যাল মিডিয়া)

Advertisement
০৩ ১২

ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অংশে এই পাখি পাওয়া যায়। মূলত ঘাসজমি ও ঝোপঝাড়ের বাসিন্দা এই পাখি আকারে ছোট, দেখতে বাহারি। বাংলার ঘাসজমিতে এই পাখির একটি প্রজাতিকে দেখে কার্ল লিনেয়াস এর নামকরণ করেছিলেন। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘কর্ভাস বেঙ্গালেনসিস’। ( সোশ্যাল মিডিয়া)

০৪ ১২

বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে এই একরত্তি পাখি গভীর ভাবে জড়িয়ে। আর তার বঙ্গজ নামে তো স্বয়ং মহাদেব বিরাজমান। ২৬ থেকে ২৭ সেন্টিমিটার লম্বা এই পাখির দেহ, লেজ ও ডানায় উজ্জ্বল নীল রঙের জৌলুস দেখার মতো। ( সোশ্যাল মিডিয়া)

০৫ ১২

তবে ভারতে যে নীলকণ্ঠ পাওয়া যায়, তার গলার কাছের অংশটি কিন্তু হাল্কা বাদামি। বরং, ইউরোপে এই পাখির যে প্রজাতি দেখা যায়, তাদের গলা ও বুকের অংশ নীল। ( সোশ্যাল মিডিয়া)

০৬ ১২

এশিয়ার বিস্তৃত অংশে পাওয়া যায় নীলকণ্ঠ পাখি। ভারতীয় উপমহাদেশ ছাড়াও তাদের পাওয়া যায় মধ্যপ্রাচ্যে। নীলকণ্ঠ পাখির মূল খাদ্য ঘাসজমির পোকামাকড়। ঘাসফড়িং, ঝিঝিপোকা থেকে ছোট সাপ, বাদ যায় না কিছুই। ( সোশ্যাল মিডিয়া)

০৭ ১২

ভারতে নীলকণ্ঠ পাখির প্রজননের সময় মূলত মার্চ থেকে জুন। এরা বাসা বানায় গাছের কোটরে। এক বারে তিন থেকে পাঁচটি ডিম পাড়ে স্ত্রী নীলকণ্ঠ। ১৭ থেকে ১৯ দিন পর ডিম ফুটে বেরিয়ে আসে ছানা। ( সোশ্যাল মিডিয়া)

০৮ ১২

এই পাখির ডাক কিন্তু মিষ্টি নয়, বরং কিছুটা কর্কশ। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকা নীলকণ্ঠকে ওড়িশা, কর্নাটক এবং তেলঙ্গনার স্টেট বার্ড হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ( সোশ্যাল মিডিয়া)

০৯ ১২

নীলকণ্ঠ পাখির সঙ্গে পৌরাণিক আখ্যানের সম্পর্কও গভীর। এই পাখি নাকি উড়ে গিয়ে কৈলাসে মহাদেবকে জানায়, সপরিবারে মা দুর্গা ফিরছেন।

১০ ১২

এই প্রাচীন রীতি পালন করতে গিয়ে প্রতি বছর নির্বিচারে মারা পড়ত অগণিত নীলকণ্ঠ। তাদের নৃশংস ভাবে ধরে বন্দি করে রাখা হত। তারপর বিজয়া দশমীতে দশভুজাকে বিসর্জনের আগে খাঁচা খুলে উড়িয়ে দেওয়া হত আকাশে।

১১ ১২

সেখানেই দেখা দিত বিপত্তি। ধরে-বেঁধে রাখা আহত পাখি উড়তে পারত না। কিছু দূর যাওয়ার পরেই তাকে আক্রমণ করত কাকের দল। তাদের আক্রমণ থেকে রেহাই পেত না ছোট আকারের এই পাখি। ফলে প্রতি বছর প্রাণ যেত বহু নীলকণ্ঠের। কয়েক বছর আগে নীলকণ্ঠ পাখি বন্দি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়েছে নীলকণ্ঠ পাখির অকালনিধন।

১২ ১২

মূলত বনেদি বাড়ির পুজোতেই নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর রেওয়াজ ছিল। এখন সে সব বাড়িতে নীলকণ্ঠ পাখির মূর্তি বানানো হয়। তাই দিয়েই পালিত হয় সাবেক রীতি। শুরু হয় আরও একটি বছরের অপেক্ষা। শারদ আকাশে মন চলে যায় নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement