প্রতীকী ছবি।
আয়ের অঙ্ক প্রায় ছুঁয়ে ফেলতে চলেছে ব্যয়ের হিসেব। চলতি আর্থিক বছর শেষ হওয়ার আগে তাই ‘খাতায়-কলমে’ আয়-ব্যয়ের হিসেবনিকেশ ‘উন্নত’ করতে মরিয়া রেল তাকিয়ে আছে অগ্রিম আদায়ের দিকে।
প্রধান পণ্য পরিবহণকারী সংস্থার কাছ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে অগ্রিম মাসুল আদায়ের পথে হাঁটছে রেল। বিগত আর্থিক বছরে ওই পথে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায় করা হয়েছিল। যা খাতায়-কলমের হিসেব উন্নত করতে বিশেষ কার্যকর হয়।
রেলের খাতায় নগদের পরিমাণ বেশি দেখাতে বিগত আর্থিক বছরের শেষ দু’দিনে সব বিল মেটানো বন্ধ করেছিল রেল। চলতি বছরেরও তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রেলকর্তাদের একাংশের।
আপাতত আয়-ব্যয়ের হিসেবের স্বাস্থ্য উন্নত করতে যে-সব সংস্থা রেলে বছরে ৫০০ কোটি টাকার বেশি পণ্য পরিবহণ করে, তাদেরই মাসুলের টাকা অগ্রিম দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এর জন্য ওয়াগন সরবরাহের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধে দেওয়ার পাশাপাশি বলা হচ্ছে কিছু ছাড়ের কথাও। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৫০টি সংস্থাকে এই সুবিধের জন্য তালিকভুক্ত করা হয়েছে।
চলতি আর্থিক বছরে পণ্য পরিবহণ থেকে রেলের কমবেশি এক লক্ষ ৪৩ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। গত নভেম্বর পর্যন্ত ওই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে ছিল রেল। ডিসেম্বরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও আয়ের ঘাটতি মেটানো কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয় আছে। যাত্রী বহনে ভর্তুকির খরচ তুলতে গিয়ে পণ্য-মাসুল বাড়ানোয় ২০১২ সাল থেকে নাগাড়ে রেলে পণ্য পরিবহণের অংশীদারি কমছে বলে অভিযোগ।
এ বার ১৮ হাজার কোটি টাকা অগ্রিম আদায়ের লক্ষ্য নিয়েছে রেল। এনটিপিসি ও কন্টেনার কর্পোরেশনের থেকে অগ্রিম আদায়ে তারা আশাবাদী। যদিও দেশ জুড়ে শিল্পে বিদ্যুতের চাহিদা কমায় কয়লা পরিবহণ জোর ধাক্কা খেয়েছে। এই অবস্থায় খাতায়-কলমে রেলের অগ্রিম আয়ের পথ কতটা সুগম হবে, সংশয় আছে।