প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল ছবি।
কেন্দ্রে বিজেপির তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পথে অন্যতম বাধা প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতা। সেই মেঘ কাটাতে দলীয় সাংসদদের নিজেদের সংসদীয় এলাকায় বেশি করে যেতে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আজ ছিল বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠক। তার শুরুতেই ‘জনমুখী বাজেটের’ জন্য দলের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। সূত্রের দাবি, এর পরে ওই বৈঠকে মোদী বলেন, কোনও জয়ী প্রার্থীর পরবর্তী পরাজয়ের অন্যতম কারণ প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া। তাই সাংসদদের নিজের নিজের এলাকায় বেশি মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষের কাছে নিয়মিত পৌঁছতে পারলে তাঁদের ক্ষোভ অনেকাংশেই প্রশমিত হয়। প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া কেটে যায়। তিনি নিজেও তাঁর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে একাধিক সফর করবেন।
সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে উদাহরণ-সহ বলা হয়, কোনও এলাকায় পানীয় জলের প্রকল্প ছাড়পত্র পাওয়া মাত্রই অনেক সাংসদ মনে করেন, তাঁদের দায়িত্ব শেষ। কিন্তু বাস্তবে হয়তো দেখা যায় কোথাও পাইপ ফেটে গিয়েছে, অথবা জল বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছয়নি। যার অর্থ, প্রকল্প কাজেই লাগছে না। এমন গা-ছাড়া মনোভাবই প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার জন্ম দেয়। সেখানে কোনও সাংসদ দাঁড়িয়ে থেকে গোটা প্রকল্পের সুষ্ঠু রূপায়ণ করতে পারলে তাঁর জয় নিশ্চিত।
আজকের বৈঠকে দলীয় সাংসদদের বিতর্ক ভুলে বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলি নিয়ে নিজেদের এলাকায় প্রচার করার বিষয়টিতে জোর দেন মোদী। বলেন, ‘‘সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কথা ভেবে সর্বজনহিতকর ওই বাজেট তৈরি হয়েছে। কারও পক্ষেই একে ‘নির্বাচনমুখী বাজেট’ বলা সম্ভব নয়।’’ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, বাজেটের মূল লক্ষ্যই হল, সমাজের প্রান্তিক ও গরিব মানুষের উন্নয়ন। সাংসদদের তিনি বলেন, ‘‘নিজের নিজের কেন্দ্রে গিয়ে আমজনতার সঙ্গে কথা বলুন। এই বাজেট থেকে তাঁরা কী পেয়েছেন, তা তাঁদের সামনে তুলে ধরুন— যাতে মানুষ বুঝতে পারেন, বাজেটে তাঁদের কথাও ভেবেছে কেন্দ্র।’’
এর পাশাপাশি, আজ লোকসভায় রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ এবং রাজ্যসভায় তেলঙ্গানার মতো ভোটমুখী রাজ্যের বিজেপি সাংসদেরা যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন, মোদী কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গত আট বছরে দেশের আমজনতার জীবনযাত্রা সার্বিক ভাবে পাল্টে গিয়েছে। আবাস প্লাস, উজ্জ্বলা, আয়ুষ্মান ভারতের মতো প্রকল্পে উপকৃত হওয়ার কথা তাঁরা জনতার কাছেই শুনেছেন বলে দাবি করেন।