১০ ঘণ্টার বিমানে যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়েছেন চিকিৎসক ভেমালা। ছবি: সংগৃহীত।
মির্যাকল! এক বার নয়। ১০ ঘণ্টার উড়ানে বসেই দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হল এক যাত্রীর। চিকিৎসার সামান্য কিছু প্রাথমিক সরঞ্জাম দিয়ে তাঁকে বাঁচালেন সহযাত্রী এক চিকিৎসক। সফরশেষে জানালেন, সারা জীবন মনে রাখবেন এই অভিজ্ঞতা।
চিকিৎসকের নাম বিশ্বরাজ ভেমালা। বার্মিংহামের একটি হাসপাতালে তিনি হেপাটোলজিস্ট। অর্থাৎ যকৃৎ এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের রোগ বিশেষজ্ঞ। হাসপাতালের তরফে টুইটারে জানানো হয়েছে, ‘‘মাঝ আকাশে দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল এক যাত্রীর। আমাদের হেপাটলজিস্ট বিশ্বরাজ ভেমালা তাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছেন। সামান্য কিছু সরঞ্জাম দিয়ে ভেমালা তাঁকে বাঁচিয়েছেন। তার পর অবতরণের পর ওই রোগীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বার্মিংহাম থেকে ভারতে আসছিলেন ভেমালা। বেঙ্গালুরুতে তাঁর গ্রামের বাড়িতে ছিলেন মা। সেখান থেকে তাঁকে ফেরানোর জন্যই এসেছিলেন। উড়ানের সময় ৪৩ বছরের এক যাত্রীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। বিমানের কর্মীরা এক জন চিকিৎসকের খোঁজ শুরু করেন। এগিয়ে এসে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন ভেমালা। প্রসঙ্গত, এ ধরনের অসুস্থতার কোনও ইতিহাস নেই ছিল না ওই যাত্রীর।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় ওই যাত্রীর জ্ঞান ফিরিয়েছিলেন ভেমালা। তার পরেই ফের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় ওই ব্যক্তির। ফের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করে ভেমালা। বিমানকর্মীদের বলে হৃদ্স্পন্দন মাপার যন্ত্র, অক্সিমিটার, গ্লুকোমিটার, রক্তচাপ মাপার যন্ত্র জোগাড় করতে পেরেছিলেন তিনি। কিছু যন্ত্র ছিল তাঁর নিজেরও। সেই দিয়েই চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসক। ভেমালা বলেন, ‘‘চেষ্টা করে প্রায় ৫ ঘণ্টা তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছিলাম আমরা। খুব উদ্বেগে ছিলাম। বিশেষত অন্য সহযাত্রীরা।’’
শেষ পর্যন্ত বিমানচালক মুম্বই বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান বিমানটি। অবতরণের পরেই অসুস্থ যাত্রীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভেমালা জানান, অসুস্থ যাত্রী চোখের জলে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে গিয়েছেন।