বিদেশেও চিকিৎসা করতে পারবেন ভারতের ডাক্তাররা। ছবি: ফ্রিপিক।
ভারতীয় চিকিৎসকদের জন্য সুখবর! এ বার থেকে দেশের পাশাপাশি বিদেশে গিয়েও তাঁরা রোগীদের চিকিৎসা করতে পারবেন। দেশে পাওয়া এমবিবিএস ডিগ্রি এ বার প্রযোজ্য হবে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ জ়িল্যান্ডেও। প্রসঙ্গত, ভারতের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)-কে ১০ বছরের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিক্যাল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই)। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এনএমসি-কে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
মন্ত্রক সূত্রে খবর, জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনকে ডব্লিউএফএমই ছাড়পত্র দেওয়ায় ভারতের ডাক্তাররা এখন থেকে বিদেশেও চিকিৎসা করতে পারবেন। শুধু তা-ই নয়, উচ্চশিক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে চাইলে, তাতেও আর কোনও বাধা রইল না। স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, দেশের ৭০৬টি মেডিক্যাল কলেজ ডব্লিউএফএমই-র ছাড়পত্র পেয়েছে। আগামী দিনে দেশে নতুন কোনও মেডিক্যাল কলেজ হলে সেগুলিও এই আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল ফেডারেশনের ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। এই ছাড়পত্র পাওয়ার ফলে দেশীয় ডাক্তাররা যেমন বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করতে পারবেন, তেমনই বিদেশ থেকে অনেকে ভারতে ডাক্তারি পড়তে আসতে পারবেন। শুধু তা-ই নয়, এখান থেকে পাওয়া ডাক্তারি ডিগ্রি নিয়েও নিজের দেশে ফিরে চিকিৎসা করতে পারবেন।
মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক চিকিৎসা ফেডারেশনের এই ছাড়পত্রে দেশের ডাক্তারদের যেমন অনেক সুবিধা হবে, তেমনই দেশের চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে। বিদেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে অনেক বেশি পরিচিতি ঘটবে। এই ছাড়পত্রের ফলে দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলির আন্তর্জাতিক পরিচিত মিলবে। যা দেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও অনেক বেশি লাভজনক হবে বলে মনে করছে মন্ত্রক।
ডব্লিউএফএমই-র ছাড়পত্র সহজে পাওয়া যায় না। যত ক্ষণ না ডাক্তারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি আন্তর্জাতিক মানের পর্যায়ে না পৌঁছয়, তত ক্ষণ এই ছাড়পত্র দেওয়া হয় না। কিন্তু ভারতের চিকিৎসাবিজ্ঞান সেই স্তরে পৌঁছেছে বলেই এই ছাড়পত্র মিলেছে বলে জানানো হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে উন্নত মানের চিকিৎসা শিক্ষা দেওয়াই ডব্লিউএফএমই-র মূল লক্ষ্য। এনএমসি-র মিডিয়া ডিভিশনের প্রধান চিকিৎসক যোগেন্দ্র মালিক বলেন, “ভারতে ডাক্তারি শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে দেশের ডাক্তারি পড়ুয়ারা এখন থেকে বিদেশে গিয়েও উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি চিকিৎসাও করাতে পারবেন।”