হাবিলদার দয়ারাম আনজানে। —নিজস্ব চিত্র।
পেনশনের কাগজপত্র নিতে এসেছিলেন নাসিকের সেনা ছাউনিতে। কিন্তু, অবসরের দিন কয়েক আগে সেখান থেকে রহস্যজনক ভাবে নিঁখোজ হয়ে গেলেন সেনার এক কর্মী। ঘটনার পর প্রায় চার দিন পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি তাঁর। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা ওই সেনাকর্মীর পরিবারের দাবি, এই ঘটনায় ওই রাজ্যের পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেও স্থানীয় থানায় কিছুই জানায়নি সংশ্লিষ্ট সেনা ছাউনির কর্তারা।
নিঁখোজ সেনাকর্মীর পরিবার সূত্রে খবর, দয়ারাম আনজানে নামে ৩৮ বছরের ওই ব্যক্তি মধ্যপ্রদেশের হরদার বাসিন্দা। গুজরাতের ধরন্ধরাতে তিনি হাবিলদার পদে নিযুক্ত ছিলেন। গত ৩১ মে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। পেনশন সংক্রান্ত কাজকর্মের জন্য গত মাসের গোড়ায় নাসিকের আর্টিলারি ডিপো রেজিমেন্ট-এর ছাউনিতে আসেন তিনি।
দয়ারামের শ্যালক আনন্দ পাতিলের দাবি, ২৮ মে রাতে তাঁদের ফোন করে দয়ারামের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানান নাসিকের ওই সেনা ছাউনির কর্তারা। সেনার তরফে জানানো হয়, নাসিকের ওই ছাউনি থেকে বিনা অনুমতিতে ছুটি নিয়ে চলে গিয়েছেন দয়ারাম। তবে দয়ারাম যে বাড়িতে ফেরেননি তা জানিয়েছেন আনন্দ পাতিল। তিনি বলেন, “২৮ মে রাত সাড়ে ১১টা-১২টা নাগাদ আর্মি থেকে আমাদের কাছে ফোন এসেছিল। ওরা জানান, সন্ধ্যা থেকেই খোঁজ মিলছে না দয়ারামের, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না। বিনা অনুমতিতে ছুটি নিয়ে চলে গিয়েছেন জামাইবাবু।” তাঁর প্রশ্ন, “ছুটি নিলে তো নিজের বাড়িতেই ফিরতেন তিনি! তবে সেখানে কেন ফেরেননি দয়ারাম?”
আরও পড়ুন: লোকসভায় ভরাডুবি হলেও পুরভোটে কর্নাটকে জয়জয়কার কংগ্রেসের
আরও পড়ুন: ৫২ নিয়েই লড়ে যাব, বললেন রাহুল, সংসদে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়াই
এর পর ৩০ মে ওই সেনা ছাউনিতে গিয়ে সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে দয়ারামের পরিবার। আনন্দ পাটিলের বলেন, “সেনার তরফে আমাদের বলা হয়, মধ্যপ্রদেশ পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছ। তবে আনন্দের প্রশ্ন, “ঘটনাটা নাসিকে ঘটেছে। তা হলে সেখানকার স্থানীয় থানায় কেন অভিযোগ জানাল না সেনা?” আনন্দ জানিয়েছেন, ওই দিনই নাসিকের উপনগর থানায় গিয়ে দয়ারামের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানান তাঁরা। তবে ঘটনার দিনে থেকে বেশ কয়েক দিন পার হয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি দয়ারামের।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)