জঙ্গিদের খোঁজে পাহাড়ি জঙ্গলে তল্লাশি। ছবি: পিটিআই।
২৪ ঘণ্টা ধরে লড়াইয়ের পর জম্মু-কাশ্মীরের দুই জঙ্গিকে খতম করল সেনা। নিহতদের মধ্যে এক জন লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ কমান্ডার কারি। এমনই জানিয়েছে সেনা। পাকিস্তানের নাগরিক লস্করের এই কমান্ডার। গত এক বছর ধরে রাজৌরি-পুঞ্চে সক্রিয় ছিল সে। ডাংরি এবং কান্দিতে হামলার মূলচক্রী বলেও মনে করা হচ্ছে।
সেনা সূত্রে খবর, কারি ছাড়াও আরও এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে এই লড়াইয়ের। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। অন্য দিকে, বুধবার থেকে হওয়া গুলির লড়াইয়ে পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এই লড়াইয়ে বৃহস্পতিবারই সেনার দুই ক্যাপ্টেন-সহ চার জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন আরও তিন জন। সেই লড়াইয়ে আহত এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার।
সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, নিহত লস্কর কমান্ডার কারি আইইডি তৈরিতে দক্ষ ছিল। পাহাড়ি গুহায় লুকিয়ে হামলা চালাতেও বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত ছিল সে। এ ছাড়াও লস্করের প্রশিক্ষিত স্নাইপার এই কারি। সেনার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল কারি। গত এক বছর ধরে রাজৌরি এবং পুঞ্চে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সে।
রাজৌরির বাজিমল গ্রাম থেকে বুধবার সকালে পুলিশ এবং সেনার কাছে খবর গিয়েছিল যে, খাবার না দেওয়ায় এক গ্রামবাসীকে মারধর করছে জঙ্গিরা। সেই খবর পেয়েই ওই গ্রামে অভিযানে যায় সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনী। আঁচ পেয়েই পাশেরই কালাকোট জঙ্গলে আশ্রয় নেয় জঙ্গিরা। তাদের খোঁজে পাহাড়ি জঙ্গলে ঢোকে সেনা। জঙ্গিরা পাহাড়ের উপরে আশ্রয় নেওয়ায় সেনার দলটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলির লড়াই চলে। সেই সংঘর্ষে বুধবার নিহত হন দুই সেনা আধিকারিক-সহ চার জন। আহত হয়েছিলেন আরও তিন জওয়ান। রাতভর গুলির লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার ভোরেই জঙ্গিদের কোণঠাসা করে ফেলে সেনা। তাদের গুলিতে নিহত হয় লস্কর কমান্ডার-সহ দুই জঙ্গি।