ট্রায়াল রানের সময় ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে ছুটেছে এই ট্রেন।
শেষ হতে চলল বছর। আর বছর শেষেই যাত্রা শুরু হবে দেশের দ্রুততম ট্রেনের। যে কেন্দ্র থেকে প্রধানমন্ত্রী গত লোকসভা ভোটে জিতেছিলেন, সেই বারাণসী থেকেই ছুটবে দেশের প্রথম ইঞ্জিনবিহীন ট্রেন। আর মাত্র আট ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাবে দিল্লি।
২৯ ডিসেম্বর বারাণসী থেকেই ট্রেন এইট্টিন-এর প্রথম যাত্রার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রেল সূত্রে খবর, শতাব্দী এক্সপ্রেসগুলির পরিবর্তে এই ইঞ্জিনবিহীন ট্রেন দিল্লি থেকে বারাণসী যাবে। এমনকি রেলসূত্রে এ-ও বলা হয়েছে যে, রেলের সব ব্যবস্থা অর্থাৎ সিগন্যাল, ট্র্যাক সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগেও ছুটতে পারে এই ট্রেন।
১০০ কোটি টাকা খরচা করে এই ট্রেনটি তৈরি করেছে চেন্নাইয়ের আইসিএফ (ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি)। কোটা থেকে সাওয়াই মাধোপুর রুটে ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক যাত্রাও হয়ে গিয়েছে এই ট্রেনের। আর সেই যাত্রায় প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে ছুটেছে এই ট্রেন।
আরও পড়ুন: কর্নাটকে দাস প্রথা! ৫২ জন আদিবাসীকে আটকে রেখে চাবুকপেটা, যৌন নির্যাতন
যাত্রীদের যত উন্নতমানের পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে, তার সব বন্দোবস্তই থাকছে নীল-সাদা রঙা এই ট্রেনে। ওয়াইফাই, জিপিএস বেসড প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম, টাচ ফ্রি বায়ো ভ্যাকুয়াম টয়লেট, এলইডি লাইটিং, মোবাইল চার্জিং পয়েন্টস এমনকি আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণকারী ব্যবস্থাও থাকছে ট্রেন এইট্টিনে।
এই ট্রেনে থাকছে দুটি এগজিকিউটিভ কম্পার্টমেন্ট। দুটি কম্পার্টমেন্টের প্রতিটিতে থাকছে ৭৮টি করে সিট। ট্রেনের ডিরেকশন অনুযায়ী আসনও রোটেট করে নিতে পারবেন যাত্রীরা। আর বাকি সবই ট্রেলার কোচ। সেগুলির প্রত্যেকটিতে ৫২টি করে সিট থাকবে।
আরও পড়ুন: আত্মসমর্পণের জন্য সময় চেয়ে আদালতে আবেদন সজ্জন কুমারের
রেলসূত্রে খবর, সকাল ৬টায় নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছাড়লে তা বারাণসী পৌঁছে যাবে ঠিক দুপুর ২টোয়। ফিরতি পথে দুপুর আড়াইটায় বারাণসী স্টেশন থেকে ছাড়লে রাত সাড়ে ১০টায় নয়াদিল্লি স্টেশনে ঢুকে যাবে ট্রেন এইট্টিন।
পরীক্ষামূলক যাত্রায় ইঞ্জিন বিহীন এই ট্রেনের গতি দেখে বেশ খুশি রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। আগামী আর্থিকবর্ষে যাতে এই ট্রেন আরও বেশি করে তৈরি করা যায়, সে নির্দেশও তিনি আইসিএফ-কে দিয়েছেন।