ছবি পিটিআই।
আপাতত বাড়ি ফেরার ‘জেদ ছেড়ে’ কর্মস্থলের কাছেই কিছু দিন থেকে যান পরিযায়ী শ্রমিকেরা। এ বিষয়ে তাঁদের বোঝাক ট্রেড ইউনিয়নগুলি। করোনা-সঙ্কটের কঠিন সময়ে কর্মীদের সমস্যায় মন না-দিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক মূলত এই বিষয়টি নিশ্চিত করারই চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলল সর্ব ভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন এআইটিইউসি। ওই শ্রমিকদের বাড়ি যাওয়া আটকাতে যে ভাবে কর্নাটক সরকার বেঙ্গালুরু থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়ার সমস্ত ট্রেন বাতিল করার জন্য রেলকে অনুরোধ জানিয়েছে, তার নিন্দা করেছে সিটু-ও।
হাতে কাজ, টাকা নেই। খাবার, জল, ওষুধ বাড়ন্ত। এমনকি অপর্যাপ্ত মাথা গোঁজার ঠাঁইও। এই অসহনীয় পরিস্থিতিতে প্রায় দেড় মাস ত্রাণ শিবিরে আটকে থাকার পরে ক্রমশ মাত্রা ছাড়াচ্ছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষোভ। যার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে সুরত, হায়দরাবাদের প্রতিবাদে। এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখে কেন্দ্র কর্মীদের বাড়ি ফেরাতে বিশেষ রেল চালাতে শুরু করার পরেও তাঁদের যেতে দিতে বেঁকে বসেছে কর্নাটকের মতো কিছু রাজ্য। তার তীব্র নিন্দা করে সিটু-র সাধারণ সম্পাদক তপন সেনের অভিযোগ, “এই সিদ্ধান্ত অমানবিক এবং নৃশংস।…আসলে লকডাউন উঠলে কর্মী পেতে সমস্যার কথা আঁচ করে কিছু সংস্থা চায় না যে, কর্মীরা বাড়ি ফিরুন। দুর্ভাগ্যজনক যে, তার সঙ্গে শামিল সরকারও।”
এআইটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অমরজিৎ কউরের ক্ষোভ, “বুধবার কর্মী সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলার সময়ে শ্রমিকদের সমস্যার কথা কার্যত শুনেও শোনেনি শ্রম মন্ত্রক। তাদের বরং আগ্রহ শ্রমিকদের না-ফেরানোয়।” মন্ত্রকের যদিও দাবি, ট্রেড ইউনিয়নগুলির সঙ্গে কথা বলে সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেছে তারা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)