ফাইল ছবি।
চিন ও পাকিস্তানকে একযোগে মোকাবিলা করতেই সীমান্তে রাশিয়ার থেকে আনা অত্যাধুনিক এস- ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্ররোধী ব্যবস্থা বসানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে ভারত। পেন্টাগন সূত্রে এমনই খবর। গত বছর ডিসেম্বর থেকে রাশিয়ার কাছ থেকে এই ধরনের বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়া শুরু করেছে ভারত।
সম্প্রতি আমেরিকার ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্কট বেরিয়ার সেনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটিকে জানিয়েছেন, ‘‘ডিসেম্বর থেকে রাশিয়ার ‘এস- ৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ ক্ষেপণাস্ত্র পেতে শুরু করেছে ভারত। ভারত চায়, এ বছর জুনের মধ্যেই পাকিস্তান ও চিনের মোকাবিলায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোমাত্রায় মজবুত করে ফেলতে। পাশাপাশি বেরিয়ার জানিয়েছেন, ভারত পুরোদস্তুর আধুনিকীকরণের মাধ্যমে সামরিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কাজ চালাচ্ছে। একই সঙ্গে চিনের ধাঁচে ‘ইন্টিগ্রেটেড থিয়েটার কমান্ডস’ তৈরির উদ্দেশ্যেও পদক্ষেপ করছে। এর ফলে তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় রক্ষার কাজ আরও মসৃণ হবে বলে মনে করছেন পেন্টাগনের কর্তারা।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারত-চিন সম্পর্কের কথাও আমেরিকার ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ডিরেক্টর উল্লেখ করেছেন। বেরিয়ার জানিয়েছেন, গলওয়ানের ঘটনার পর থেকেই দুই দেশের অন্তত ৫০ হাজার সেনা একে অপরের চোখে চোখ রেখে প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। মোতায়েন রয়েছে ট্যাঙ্ক, রকেট লঞ্চার। দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সামরিক প্রয়োজন মাথায় রেখে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও আমেরিকা জানতে পেরেছে।
একই ভাবে ভারত-পাক সম্পর্কও বিশ্লেষণ করেছেন ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ডিরেক্টর। তাতে বলা হয়েছে, ধারাবাহিক ভাবে পাকিস্তানের বিক্ষিপ্ত প্ররোচনা যেমন জারি থাকবে, তেমনই ভারতের তরফেও তার জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি সারা। কিন্তু এর মধ্যে যদি পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীরা বাড়াবাড়ি কোনও পদক্ষেপের পথে এগোয়, তাহলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় মাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে দিতে পারে ভারত— এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে চিন ও পাকিস্তানকে মোকাবিলায় নিজেদের আরও শক্তিশালী ও মজবুত করতে চেষ্টায় ফাঁক রাখছে না ভারত।