বেঙ্গালুরুতে সিএএ, এনআরসি-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
২০১৯-এর গণতন্ত্র সূচকে এক ধাক্কায় দশ ধাপ পিছিয়ে ৫১ নম্বর স্থানে নেমে এল ভারত। ২০১৮-তে ভারতের সামগ্রিক নম্বর ছিল ৭.২৩। যা এ বার নেমে হয়েছে ৬.৯। নাগরিক স্বাধীনতার উপরে কোপ এর অন্যতম প্রধান কারণ বলেই দাবি করা হয়েছে ইকনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)-এর তৈরি ওই রিপোর্টে।
সারা বিশ্বে ১৬৫টি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং দু’টি অঞ্চলে গণতন্ত্রের অবস্থান তুলে ধরা হয় এই সূচকের মাধ্যমে। নির্বাচন প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, সরকারের কাজকর্ম, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ ও স্বাধীনতা, রাজনীতি মনস্কতা এবং নাগরিক স্বাধীনতা— এই পাঁচটি মাপকাঠির বিচারে তৈরি করা হয় সূচকটি। সামগ্রিক নম্বর অনুযায়ী মোট চারটি বিভাগে বিভক্ত করা হয় দেশগুলিকে। আটের উপর নম্বর থাকলে সেটি ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ছয় থেকে আটের মধ্যে নম্বর থাকলে সেটি ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’। এই দ্বিতীয় তালিকাতেই রয়েছে ভারতের নাম। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ এবং সে সময়ে সেখানে ইন্টারনেট শাটডাউন, প্রভূত সেনা মোতায়েন এবং ধরপাকড়ের কথা বলা রয়েছে এই রিপোর্টে। অসমে এনআরসি-র উল্লেখও রয়েছে রিপোর্টে।
সামগ্রিক নম্বর ছয়ের চেয়ে কম ও চারের চেয়ে বেশি হলে সেটিকে গণতন্ত্র এবং একনায়কতন্ত্রের মাঝামাঝি বলে ধরা হয়। চারের নীচে নম্বর নামলে তা ‘একনায়কতন্ত্র’। ২০১৯-এর সূচকে চিনের সামগ্রিক নম্বর ২.২৬। সূচকে ১৫৩তম স্থানে রয়েছে তারা। প্রতিবেশী গণতন্ত্রগুলির মধ্যে পাকিস্তানের স্থান ১০৮। তাদের সামগ্রিক নম্বর ৪.২৫। ৬৯তম স্থানটি শ্রীলঙ্কার দখলে। তাদের সামগ্রিক নম্বর ৬.২৭। বাংলাদেশ রয়েছে ৮০তম স্থানে। তাদের সামগ্রিক নম্বর ৫.৮৮।
সূচকের শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। দ্বিতীয় স্থানে আইসল্যান্ড এবং তৃতীয় সুইডেন। প্রথম দশের মধ্যে থাকা বাকি দেশগুলি যথাক্রমে নিউজ়িল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও সুইৎজ়ারল্যান্ড। ৮.৫২ নম্বর পেয়ে ব্রিটেন ১৪ নম্বরে। আমেরিকার সামগ্রিক নম্বর ৭.৯৬, স্থান ২৫। তালিকার একদম শেষে, ১৬৭তম স্থানে রয়েছে উত্তর কোরিয়া।